প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১০ ব্যাংক কর্মকর্তা। পিকে হালদার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদক এ মামলা করে। পিকে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্য দেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এসময় আটক চার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। সাক্ষীদের জবানবন্দি শেষ হলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।
উপস্থিত সাক্ষীরা হলেন-ব্যাংক এশিয়ার এভিপি মো. নাসির উদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মনজুরুল হক, এভিপি নাইমুর রহমান, এফএভিপি আসিফুজ্জামান খান, এফভিপি মাসুদুর রহমান, সিনিয়র অফিসার সালমান এফএভিপি গোলাম রাব্বানী, এফভিপি সৈয়দ আসাদ আহমেদ, এভিপি সুজায়েত খান মাহতাব ও ভিপি শেখ মুনীরুল হাকিম।
দুদকের মামলায় আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এদের মধ্যে আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আটক রয়েছে। এছাড়া ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর তদন্ত করে দুদক পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এ বছরের ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হন পিকে হালদার।
বুধবার জেরা শেষ হলে আদালত পরবর্তীতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।