বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম মিয়া রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সহসভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’-এর নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, শাহেন শাহ নামের এক ব্যক্তির পক্ষে গত ২৯ নভেম্বর রিট আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রোববার শুনানির জন্য কার্যতালিকার ১১৯ নম্বরে রয়েছে আবেদনটি। মূল সার্টিফিকেট জমা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’-এর কাছে আটকে রাখা সনদপত্র ফেরতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে রুল জারির পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেস কর্তৃক জমা রাখা চাকরিচ্যুত এক ব্যক্তির মূল সনদ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
আইনজীবী বলেন, মো. শাহান শাহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেস এ চাকরি করতেন। গত বছর একটা অভিযোগ এনে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তিনি জমা রাখা মূল সনদ ফেরত চাইলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আছে। অভিযোগ তদন্তের পর সনদ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপর ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি সনদ ফেরত আবেদন করেন। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ মূল সনদ ফেরত দিতে প্রোগ্রেসকে কয়েক দফা চিঠি দেয়। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
রিট আবেদনে বলা হয়, শাহেন শাহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’-এ ক্রেডিট অফিসার হিসেবে ২০১৭ সালে নিয়োগ পান। এনজিওটি নিয়োগের সময় তার কাছ থেকে এসএসসি ও এইচএসসির মূল সনদ এবং খালি চেক জমা রাখেন। ২০২১ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিনি কোনো বেনিফিট পাননি। বরং অর্থ তসরুপের মিথ্যা অভিযোগ এনে দেড় বছর ধরে জমা দেওয়া মূল সনদ ও চেক ফেরত দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। তাই সনদ ও চেক ফেরত পেতে এ রিট আবেদন করা হয়৷