৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এদিন আদালতে এনামুল বাছিরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান।
এর আগে, গত ২৩ আগস্ট বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এনামুল বাছিরকে জামিন দেন। সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল করে দুদক। পরে জামিন বাতিল করা হয়। এরপর ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন এনামুল বাছির।
গত ২২ নভেম্বর এনামুল বাছিরের জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠান চেম্বার আদালত। গত ১৭ নভেম্বর তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরপর ২২ জুলাই মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৩ জুলাই তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। অন্যদিকে তার সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে।