আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল এবার বাংলাদেশের গণপরিবহনে। শহরবাসীকে যানজট মুক্ত করতে এই রেল চলবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে। মাত্র ২০ মিনিটে পাড়ি দেবে ১০ কিলোমিটার পথ।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন তিনি। এরপর টিকেট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়বেন তিনি।
উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা। প্রথমদিকে দৈনিক চার ঘণ্টা করে মেট্রোরেল চলবে। প্রথমদিকে দিনের কোনো চার ঘণ্টা মেট্রোরেল চলবে, সেটি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যাত্রীর চাপ মাথায় রেখেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তবে মেট্রোরেল প্রথম ধাপে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে। এর মাঝে নয়টি স্টেশন পড়বে। তবে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত চললে স্টেশনের সংখ্যা হবে ১৭টি। আর দূরত্ব হবে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার।
এদিকে মেট্রোরেলের ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএমটিসিএল। প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা ধার্য করে এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মেট্রোরেলে চড়তেই লাগবে ২০ টাকা!
মেট্রোরেলে উত্তরা দিয়াবাড়ি (উত্তরা নর্থ স্টেশন) থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৬০ টাকা। আর উত্তরা নর্থ থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া পল্লবী থেকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন পর্যন্ত সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। তবে পল্লবী থেকে শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীদের ভাড়া গুণতে ৩০ টাকা।
অন্যদিকে মেট্রোরেলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পাস নিলে ১০ শতাংশ ভাড়া ছাড়ের ব্যবস্থা নিতে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি ডিএমটিসিএলকে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনা ভাড়া এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।