ঢাকাশনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ , ০২:২৭ পিএম


loading/img

সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। 

এদিন আদালতে সাক্ষ্য দিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত হন। কিন্তু কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় আদালত ২৪ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। 

বিজ্ঞাপন

এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে মামলাটিতে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। 

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এটি ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

ওইদিন মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক থাকায় তা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের কপি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আইন অনুযায়ী আদালত মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। 

বিজ্ঞাপন

ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মিজানের স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তারও আগে ৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

 সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজান ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।

২০২০ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ। মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুস লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ওই বছরের ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |