নানা আলোচনা-সমালোচনার পরেও চলতি বছর বিমান ভাড়া কমানো হচ্ছে না। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলছেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করেই বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাই করছে সরকার। সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিমান ভাড়ার সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে চলতি বছর প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বিমানভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বেশি ভাড়া নির্ধারণ করায় এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে হজ প্যাকেজ সংশোধন করতে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ সংশ্লিষ্টদের দুই দফায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এমনকি গত ১২ মার্চ হজের খরচ কমাতে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এরপর গত ১৫ মার্চ হজ প্যাকেজের খরচ কমানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা থেকে কমিয়ে দেড় লাখ টাকা করার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম জানিয়েছেন, হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া আর কমানো যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটাই সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ ভাড়া। আমরা যতটুকু সম্ভব কমিয়েছি। এর চেয়ে আর কমানো যায় না।