ঢাকায় প্রথমবারের মতো ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’ এর বৈঠক বসছে চলতি বছরের ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর।
রোববার (১১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি)।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এই ফোরামে কমনওয়েলথভুক্ত সব দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ। স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশ যখন কমনওয়েলথে যোগদান করে, তখন দেশটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। সময়ের সঙ্গে এখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে।
একই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ব্যবসাসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনে বর্তমানে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে জিএসপি সম্পর্কিত বাণিজ্যিক সুবিধার ধারাবাহিকতা বজায় রাখছি। দেশে বেসরকারি পুঁজির প্রবাহ এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ অর্থায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ৫৬ দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কমনওয়েলথ, যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।
