বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আইনজীবী দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেছেন, এটা একটা রাজনৈতিক সাজা, সরকারের ফরমায়েশি রায়।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের রায়ের বিষয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে বিএনপির আইনজীবীরা বিক্ষোভ ও জুতা মিছিল করেন।
আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই। আদালতে ছিলেন না। আমরা এ মামলায় এ দেশের আইনের অনুসারী। একদিন আপিল করবো এবং সেই আপিলে প্রমাণ করে ছাড়বো এ রায় সরকারের ফরমায়েশি রায়।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান বাংলাদেশে আসবেন। উনারা আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এ মামলায় আপিল করবো। তারা বাংলাদেশে নেই, তাই আপাতত আপিল করব না।
বিকালে তারেক রহমানের ৯ বছর এবং জোবায়দার তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার এ রায় ঘোষণা করে ঢাকা মহানগরের সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। একই সঙ্গে আদালত তারেকের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হলেও ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলায় সাজা দেওয়া হলেও এবারই প্রথম জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাজা হলো।
একই সঙ্গে আদালত তারেকের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল।
