ঢাকারোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

পল্লবীতে শাহিন হত্যা মামলা, ১০ সেপ্টেম্বর পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন

আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৬ আগস্ট ২০২৩ , ০২:০৫ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

রাজধানীর পল্লবীতে শাহিন উদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৫ জুন) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য দিন ধার্য ছিল। 

কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক ফের তা জমার জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালের ১২ মে আদালত শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে পিবিআইকে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেন।

এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

অন্য আসামিরা হলেন সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন। সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে। তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

২০২১ সালের ১৬ মে শাহিন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় এম এ আউয়ালকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু।

মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম বলেন, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। পরে শাহিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে যায়। এরপর সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়।

এ সময় গেটের বাইরে ছিল শাহিন উদ্দিনের ৬ বছরের ছেলে মাশরাফি। গ্যারেজে নিয়ে শাহিনকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শাহিনের মৃত্যু হয়।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |