ঢাকাশনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

আমরা নির্মোহভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি : প্রধান বিচারপতি

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ০৩:২৯ এএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমরা নির্মোহভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। 

জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রধান বিচারপতি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আমরা আইনের সব নিয়মনীতি মেনে নির্মোহভাবে বিচার কাজ করেছি। সেই বিচারে তাদের সাজা হয়েছে। পরে বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। আমরা মনে করছি এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে বাঙালি জাতি দায়মুক্ত হয়েছে।  

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, অসাম্প্রদায়িক, অর্থনৈতিক শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যই হলো সংবিধানের মূল স্তম্ভ। এই মূল স্তম্ভকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া সংবিধানে তার সেই স্বপ্ন এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র কাঠামো পেয়েছি, তার ভিত্তি হলো সংবিধান। সংবিধান দাঁড়িয়ে আছে চারটি মূলনীতির ওপর। প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছি এই সংবিধান রক্ষার জন্য। সংবিধানের চার মূলনীতি রক্ষায় আমরা সচেষ্ট থাকব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার। এজন্য প্রয়োজন দল ও মতের পার্থক্য ভুলে একসঙ্গে কাজ করব ও একসঙ্গে পথ চলব। এটা আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করতে পারব।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আইনে যে ফাঁক-ফোকর রয়েছে সেই ফাঁক-ফোকরে দরখাস্তের পর দরখাস্ত দিয়ে বিভিন্ন আবেদন করা হয়। আবেদনের মাধ্যমে মামলার এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করেন। এ কারণে মামলার জট কমাতে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আইনজীবীদেরও বুঝতে হবে এটা একটা পেশা, এটা কোনো ব্যবসা নয়। বিচারকদের দায়িত্ব হচ্ছে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করা। আশা করি কোনো কোনো জেলায় যেভাবে মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে, এটা চলমান থাকলে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মামলা জট সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

দেশের আইন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৮৪ সালের পর থেকে আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগের আইনগুলো ইংরেজি ভাষায়। এগুলো বাংলায় করতে হলে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের অনেক বিচারক এখন বাংলায় রায় দিচ্ছেন। তারা চেষ্টা করেন বাংলায় রায় দিতে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী একজন আইটি বিশারদ, তাকে বলব আরও সহজ কোনো অ্যাপস করা যায় কি না, যাতে ইংরেজি রায়গুলো সহজ ও সাবলীল বাংলায় অনুবাদ করা সম্ভব হয়।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি জেলা সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেওয়া হয়।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |