ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, ঢাকা শহরে চুরি-ছিনতাই বা ডাকাতির ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ডিবির সদস্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আনে। এরপর তাদের আমরা ১৬৪ ধারায় আদালতে পাঠাই। আমরা আমাদের কাজটা করছি। কিন্তু এরপর তারা কীভাবে বেরিয়ে যায় আমরা জানি না। আমাদের জানারও কথা না।
রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), মো. সাহারুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার ওরফে দিদার মুন্সী (৩৫), মো. ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), মো. আলামিন দুয়ারী ওরফে দিপু (৪২) ও মো. দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, র্যাবের জ্যাকেট-হ্যান্ডকাপ, ওয়্যারল্যাস এবং হুবহু অরিজিনালের মতো দেখতে খেলনা পিস্তল, ২৫-২৬টি মোবাইল ফোন, দুই ভরি স্বর্ণ এবং ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ২৬ লাখ টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। আশা করি, আরেকজন যাকে ধরেছি তার কাছ থেকে বাকি টাকা উদ্ধার হবে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ডাকাতির টাকা দিয়ে তারা উকিলের পেছনে খরচ করেছেন। আবার কেউ জুয়া খেলেছেন, কেউ বাসাভাড়া দিয়েছেন। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা খরচ করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের নামে ঢাকাসহ আশপাশের ১৩টি জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। প্রত্যেকটি মামলা বা ঘটনায় তারা র্যাব বা পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতি করেছে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, ঢাকার আশপাশের এলাকায় ওয়্যারল্যাস সেট ও কোমরে পিস্তল নিয়ে তারা প্রায়ই কখনও ডিবি, কখনও পুলিশ আবার কখনও র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি করতো। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নেওয়া হবে। এরপর তারা আরও কোথায় কী কী করেছে সেসব বেরিয়ে আসবে।
এর আগে, গত ১০ অক্টোবর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর বিকেল ৪টার দিকে গাড়ি থামিয়ে র্যাব পরিচয়ে ৪৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তা সোহেল আহম্মেদ সুলতান।