হজযাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করা বর্তমান হজ প্যাকেজ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) হাইকোর্ট এই রুল দিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এর ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন।
আদালত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলেছেন যে কেন বাংলাদেশে অপারেট করা সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসকে প্রতিযোগিতামূলক ভাড়ায় হজযাত্রীদের পরিবহনের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না।
আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজে অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং হজ যাত্রী পরিবহনে সকল আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে কেন অনুমতি দিতে নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, হজ প্যাকেজ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল-কুরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ-জামানের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এই রুল দেন।
২ নভেম্বর সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী ২০২৪ সালের হজের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ হজ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। দুই প্যাকেজেই বিমান ভাড়া পড়বে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। গতবার যা ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা।
এ বিষয়ে ৮ নভেম্বর গেজেট জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ওই গেজেটে অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে দাবি করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফ-উজ-জামান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পারভেজ হোসেন। তিনি জানান, প্যাকেজে বাড়ি ভাড়া, বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে যাতায়াত খরচ অতিরিক্ত ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্যাক্সও অতিরিক্ত। এগুলো কমাতে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্ধারিত এয়ারলাইন্স ছাড়া হজ যাত্রী পরিবহন করা যায় না। এই মনোপলির বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।