পৌষের শেষ সময়ে সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলি ও চুয়াডাঙ্গায়। এ ছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ ও দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে আজ হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৪ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। শীতের প্রভাবে রাজধানীর তুলনায় দেশের উত্তরবঙ্গের জনজীবনে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় কমে আসছে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কয়েক গুণ বাড়িয়েছে শীতের অনুভূতি।
এ অবস্থায় বিকেল হলেই ঘন-কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। জেঁকে বসা শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।