ঢাকামঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

দারিদ্র্যবিমোচনে জাকাত বোর্ডকে শক্তিশালী করার আহ্বান ধর্মমন্ত্রীর

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪ , ০৫:৩৪ পিএম


loading/img
বুধবার (৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি : সংগৃহীত

দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য দেশের জাকাত বোর্ডকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, সে লক্ষ্য অর্জনে জাকাত বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। জাকাত বোর্ডকে শক্তিশালী করা সম্ভব হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে।

বিজ্ঞাপন

জাকাতের ধর্মীয় গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি এ সময় বলেন, ইসলামের পাঁচটি স্তম্বের অন্যতম জাকাত। সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর জন্য জাকাত আদায় করা ফরজ। এটি আর্থিক ইবাদত। ইসলামে নামাজকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাকাতকে।

পবিত্র কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মমন্ত্রী এরপর বলেন, পবিত্র কুরআনে জাকাত আদায় না করার পরিণাম সম্পর্কে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। যারা জাকাত আদায় করবে না, তাদেরকে বেদনাদায়ক আজাবের সম্মুখীন হতে হবে।

তিনি বলেন, জাকাত ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার মূলভিত্তি। জাকাত আদায় করা হলে মানুষের ধন-সম্পদ থেকে গরিবের হক আদায় হয়। ফলে তা হালাল ও পবিত্র হয়। আবার জাকাতের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য দূর হয়, সমাজে দারিদ্র্যের হার কমে ও স্বচ্ছল মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

বিজ্ঞাপন

ফরিদুল হক খান আরও বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাকাত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ইসলামে জাকাতের প্রচলন হয়েছে মূলত একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন করার জন্য। সমাজে শুধু ধনীদের হাতে যাতে সম্পদ কুক্ষিগত না থাকে এবং একটি অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যেই মহান আল্লাহপাক জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। এটি ধনীদের কোনো দয়া বা অনুগ্রহ নয়, বরং ধনীদের সম্পদের ওপর গরিবদের অধিকার।

বিজ্ঞাপন

ইসলমিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ওলামায়ে-কেরাম অংশগ্রহণ করেন এতে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |