গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার (১৩ মে) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে সরকারি হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবা নিতে হাসপাতালে গিয়ে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত লিফটে আটকে থেকে মৃত্যুর ঘটনা অনভিপ্রেত বলে মনে করে কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, কমিশনের সুয়োমোটোতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ওঠানামা করার জন্য লিফট একটি অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র। নিয়মিতভাবে যার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালের ওই লিফট নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা হয় কিনা তা কমিশনের কাছে বোধগম্য নয়।
এছাড়া, বারবার ফোন করার পরও কেন লিফটম্যানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি তা নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক বলে মনে করে কমিশন।
এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে যাদের অবহেলায় লিফটে ৪৫ মিনিট আটকে থেকে রোগীর মৃত্যু হলো তাদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। একইসঙ্গে কমিশনের আদেশের অনুলিপি গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১২ মে) সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকে তাকে চার তলায় স্থানান্তরিত করা হলে নামার সময় হঠাৎ লিফটে আটকা পড়েন ওই রোগী। অনেকটা সময় ওই লিফটে আটকে থাকাবয়স্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মমতাজ বেগম গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।