জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে এক মামলায় আব্দুর রহমানের স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আব্দুর রহমান জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭২ টাকার সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি তা দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তার নিজ ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা জমা ও ১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। সবমিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৮৯১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই অর্থের অবৈধ উৎস গোপনের উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে, আব্দুর রহমানের স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ১৬টি ব্যাংক হিসাবে তিনি ১৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা জমা ও ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। এতে মোট ২৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে।
একইসঙ্গে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে আব্দুর রহমানকেও তার স্ত্রীর মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ২৮ আগস্ট আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রসঙ্গত, আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরটিভি/আইএম