ধানচাষিদের জন্য ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার চালু করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। সেচ, সার ব্যবস্থাপনা, আগাছা দমন ও বালাই নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে বিনা মূল্যে পরামর্শ মিলবে এ সেন্টারে।
বুধবার (২৫ জুন) গাজীপুরে ব্রির প্রধান কার্যালয়ে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়। কৃষকেরা ০৯৬৪৪৩০০৩০০ নম্বরে ফোন করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারবেন।
ব্রির মহাপরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান উৎপাদনে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এসব সমস্যা সমাধানে করণীয় জানাতে ‘ধানের হেল্পলাইন’ চালু করা হয়েছে।’ এই সেবা দেবেন ব্রির এগ্রোমেট ল্যাবের বিজ্ঞানীরা।
তিনি জানান, ১৯৭০ থেকে এ পর্যন্ত ব্রি ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে, যার মধ্যে আটটি হাইব্রিড। ব্রির উদ্ভাবিত জাত মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ এখন ধান উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে।
ব্রির পরিচালক (গবেষণা) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭১ সালে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ছিল ২০ শতাংশ, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। এই সময়ে জনসংখ্যা বেড়েছে আড়াই গুণ, আর খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ।’
তিনি জানান, দেশে এখনো ২৫ শতাংশ জমি পতিত পড়ে আছে। এগুলো চাষের আওতায় আনতে হবে। ধান উৎপাদনের ধারা ধরে রাখতে হলে ধানি জমির পরিমাণ ছয় দশমিক দুই মিলিয়ন হেক্টরের নিচে নামানো যাবে না। বর্তমানে দেশে ধানি জমির পরিমাণ প্রায় ১১ দশমিক সাত মিলিয়ন হেক্টর।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় ৩৭টি জাত উদ্ভাবন করা হয়। পরে ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে উদ্ভাবন করা হয় আরও ৮৪টি জাত। এখন গবেষকেরা জিংক, আয়রন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবনে মনোযোগ দিচ্ছেন।
তিনি জানান, ব্রির জিনব্যাংকে সংরক্ষিত আছে ৯ হাজার ৬০০টি দেশি ধানের জাত। এসব জাত ভবিষ্যৎ গবেষণায় কাজে লাগানো হচ্ছে।
আরটিভি/এআর