মনে হয় আমাদের মানসিক ভারসাম্য চলে যাচ্ছে, আমাদের সংবেদনশীলতা ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। বললেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের(বাপা) সহ-সভাপতি সুলতানা কামাল।
সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবেশকর্মী উত্তম দেবনাথ মৃত্যুর বিচার, সড়কপথে নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যা বন্ধের দাবিতে শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
সুলতানা কামাল বলেন, আমরা এমন দেশে বাস করি, যে দেশের সরকার সাধারণ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে জনগণের সুযোগ-সুবিধার কথাই ভুলে স্বার্থান্বেষী মহল, বাসমালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে রাস্তায় মানুষ হত্যার পক্ষে কথা বলে।
তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টরে আমাদের সুশাসন এবং জবাবদিহিতার অভাব, সামাজিক অনাচারকে আরও উসকে দিচ্ছে। এসব কিছুরই পেছনে রয়েছে নীতিহীনতা ও দুর্নীতি। এমন অবস্থা আর চলতে পারে না, চলতে দেয়া হবে না।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : জলাবদ্ধতা নিরসনে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে: ইকবাল হাবিব
--------------------------------------------------------
আর কেউ যেন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ না করে, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারকে নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি নিহত পরিবেশকর্মী উত্তমের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সহায়তায় বাপার উদ্যোগে গঠিত তহবিলে অর্থ দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাপার আজীবন সদস্য কে এম নুরুল হুদা বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়ি পার্কিং এবং ফুটপাতের ওপর দোকান বন্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারসহ সকলে মিলে কাজ করতে হবে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ বলেন, সরকারকে বর্তমান মোটরযান আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী আইন করতে হবে। কয়েক বছর ধরে তা মন্ত্রণালয়ে পড়ে রয়েছে। এই আইন পাস না হলে সড়ক ব্যবস্থাপনার সূত্রপাত হবে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বাপার সহসভাপতি রাশেদা কে চৌধুরী, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি এম আবু সাঈদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন ও অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন :
কে/