ঢাকাশনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

টানা বর্ষণে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি চরমে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১১ জুন ২০১৮ , ১১:০০ এএম


loading/img

নিম্নচাপের কারণে আজ সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গেলো ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর এতেই চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, বাদুরতলা, দেওয়ানবাজার, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক, বাকলিয়াসহ নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বাসিন্দারা। 

নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা নূরজাহান বেগম জানান, তাঁর ঘরের ভেতরে পানি ঢুকেছে। এতে খাটের ওপর বসে ঘরের সবাইকে রাত কাটাতে হয়েছে। রান্নাবান্না করতে না পারায় শুকনো খাবার খেয়ে রোজা রেখেছে পরিবারের সবাই।

বিজ্ঞাপন

নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া জানান, হাঁটু পানিতে ভিজে নগরীর জিইসি মোড়ে চিকিৎসক দেখাতে এসেছেন তিনি। 

নগরীর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সোহেল বলেন, আগ্রাবাদ এলাকায় রাস্তার ওপর পানি উঠেছে। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গর্তে পড়ে তাঁর অটোরিকশা নষ্ট হয়ে গেছে। পরে অনেক কষ্টে গর্ত থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে মিস্ত্রির কাছে দিয়েছেন।  

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পানির ট্যাংক ধসে মা-ছেলে নিহত
--------------------------------------------------------

বিজ্ঞাপন

পানি ওঠেছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষকে বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। 

এই জলাবদ্ধতার জন্য নগীরর খালগুলো পরিষ্কার না হওয়া, নালা নর্দমা ভরাটকে দায়ী করছেন নগরবাসী। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করা মাহমুদুল হক বলেন, খালগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরা। পানি নামার কোনো সুযোগ নেই। নালা নর্দমাগুলোও পরিষ্কার নয়। তাই চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আমরা কর্মজীবী মানুষ। প্রতিদিন অফিসে যেতে হয়। এই কারণে নোংরা পানি মারিয়ে যেতে হচ্ছে। 

একই এলাকার বাসিন্দা রইস উদ্দিন বলেন, খাল সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেই। ময়লা আবর্জনা ফেলে মানুষ খালগুলোকে ভরে ফেলে। এই কারণে আমাদেরকে কষ্ট করতে হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি সহকারী শ্রীকান্ত কুমার বসাক আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন , নিম্নচাপটি বর্তমানে দুর্বল হয়ে গেছে। এরপর ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে এখনো তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়ছে। 

এদিকে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগে কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। 

এসএস 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |