সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার রাতে জিডিটি করেন বলে ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এদিকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিডিটির নম্বর ৪৯৮। জিডিটি নিয়ে তদন্তের জন্য থানা থেকে ডিবির (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, সময় টিভিতে গত ৯ অক্টোবর রাতে সম্পাদকীয় নামের টকশোতে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের পূর্ব রাতে হঠাৎ অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেনাপ্রধান সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিদ্বেষপ্রসূত ও ষড়যন্ত্রমূলক, যা সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি তথা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি কেন, কি উদ্দেশ্যে এবং কাদের প্ররোচনায় এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট ও অসত্য বক্তব্য টকশোতে বলেছেন তা তদন্তের দাবি রাখে। চাকরিরত সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির এরূপ বানোয়াট, অসত্য বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা সেনাবাহিনী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর মতো রাষ্ট্রীয় একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে জনসম্মুখে হেয় করার হীন অপচেষ্টা। সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
এর আগে সময় টিভিতে দেয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘অসত্য’ বলে আখ্যায়িত করে গেল শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া হয়।
২০ অগাস্ট রাতে সময় টিভির আলোচনা অনুষ্ঠান সম্পাদকীয়তে জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ যখন ‘চট্টগ্রামের জিওসি’ ছিলেন, সেখান থেকে ‘সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ চুরি’ যাওয়ার ঘটনায় তার ‘কোর্ট মার্শাল’ হয়েছিল।
পরে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সেনাবাহিনী বা জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এরূপ কোনও অভিপ্রায়ও আমার নেই। আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরবে আমি গর্বিত। জেনারেল আজিজকে আমি অসাবধানতাবশত কোনও মনোকষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্য আমি পুনরায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন :
এমসি/এমকে