ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ায় সব সমুদ্রবন্দর থেকে বিপৎসংকেত নামানো হয়েছে। এর পরিবর্তে এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে নিম্নচাপটি ত্রিপুরা দিয়ে দুর্বল হয়ে বের হয়ে যাবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আজও বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষেরা নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে বেশি আঘাত না হেনেই বাগেরহাটের উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ কারণে সব সমুদ্রবন্দর থেকে বিপৎসংকেত নামানো হয়েছে। এর পরিবর্তে এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।