চোখজুড়ে নানান স্বপ্ন ১০ বছর বয়সী হাবিবার। এ বয়সে হয়তো হাবিবার স্কুলের বান্দায় ছুটে বেড়ানোর কথা ছিল, কিন্তু তাকে আবদ্ধ করেছে হাসপাতালের চার দেয়াল। সেখানেরই নিয়মিত বাসিন্দা হাবিবা। জটিল রোগ ‘অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’তে ভুগছেন। জটিল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হাবিবার শরীরের রক্ত উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
জটিল এই রোগের কাছেই থমকে যেতে চান না হাবিবা, ছুঁয়ে দেখতে চান আগামীর আকাশ। এগিয়ে যেতে চান অন্য দশজন শিশুর মতো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগে অঙ্কলোজি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি ছিলেন হাবিবা। রোববার (২০ নভেম্বর) ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। তবে এবারই নতুন নয়, ঢামেকের নিয়মিত রোগী হাবিবা।
হাবিবা আক্তার মুন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার সদর পৌরসভার মো. সবুজ হাওলাদারের (৩৩) মেয়ে। বর্তমানে গাজীপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন সবুজ। সেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন, তবে সেই চাকরিটা এখন আর নেই।
হাবিবার মা জানান, ২০১৯ সালের মে মাসে হাবিবার জটিল এই রোগ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই নিয়মিত হাসপাতালেই সময় কাটে হাবিবার। দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছেন।
সবুজ হাওলাদারের বিশ্বাস মেয়ে হাবিবা একদিন সুস্থ হয়ে উঠবে। কারণ, ভারতের চিকিৎসকেরা বলেছেন, ওষুধ খেলে হাবিবার ৩০ শতাংশ এবং কেমোথেরাপিতে ৬০ শতাংশ সেরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
সবুজ হাওলাদার জানান, ভারতে এ চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৫ লাখ রুপি খরচ পড়বে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা। সেখানে তাদের প্রায় ছয় মাস থাকতে হবে। সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, এখন অবধি প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। নিজের আর্থিক সঞ্চয়ের প্রায় সবটুকু শেষ হয়ে গেছে। কোনো উপায় না পেয়ে এখন সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আবেদন করেছেন।
হাবিবার জন্য সহায়তা পাঠাতে :
ব্যাংক হিসাবের নাম : মো. সবুজ হাওলাদার
হিসাব নং ২০৫০২১০০২০৪০৪২৮০৯
সুইফট কোড : আডিডিএল বিডিডিএইচ-২১০
ইসলামী ব্যাংক, মিরপুর-১, ঢাকা।
মোবাইলে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে :
বিকাশ ও নগদ নম্বর : ০১৭২৭৫৮৩২ ১০