‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ফলে এ দিনও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় ঢাবির কলা ভবনের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে এদিন সকাল থেকেই সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেন শিক্ষকরা।
এ সময় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের দাবি আদায়ে ন্যূনতম ছাড় দেব না। সবগুলো দাবি মানা হলে পরে আমরা ক্লাসে ফেরত যাব। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবেই।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, এ আন্দোলন থেকে শিক্ষক সমাজ পিছু হটবে না। এ আন্দোলন চলমান থাকবে, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। এ আন্দোলন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। এ আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়। এটা শুধু প্রত্যয়ের বিরুদ্ধে। যারা এ স্কিম চালু করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করতে চাচ্ছে, এ আন্দোলন তাদের বিরুদ্ধে।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, এ আন্দোলন থেকে শিক্ষক সমাজ পিছু হটবে না। এ আন্দোলন চলমান থাকবে, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। এ আন্দোলন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। এ আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়। এটা শুধু প্রত্যয়ের বিরুদ্ধে। যারা এ স্কিম চালু করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করতে চাচ্ছে, এ আন্দোলন তাদের বিরুদ্ধে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তিনদফা দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে আমাদের সুপারগ্রেড দেয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অদৃশ্য শক্তিবলে আমরা পাইনি। আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা থাকলেও তা আমরা পাইনি। এরপর আবার আমাদের উপর প্রত্যয় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গত ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এরপর থেকে ধাপে ধাপে তারা তাদের আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। সবশেষে ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন