• ঢাকা রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১
logo

ভিপিএন ব্যবহার নিয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক

আরটিভি নিউজ

  ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫২
সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট বিক্ষোভ-সহিংসতার জেরে সরকার ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করায় দেশে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে।

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাক্সেস সীমিত করা হয়েছে, যাতে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে না পারে এবং উসকে দেওয়ার মতো তথ্যের প্রচার রোধ করা যায়। তবে, এর ফলে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে। কারণ, মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও নিরাপদে যোগাযোগের বিকল্প উপায় খুঁজছেন।

এদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন ভিপিএনের ব্যবহার সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তিনি এজন্য দেশে বড় ধরনেরসাইবার হামলার আশঙ্কাও করছেন।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

পলক বলেন, সাইবার হামলা মোকাবিলার জন্য আমরা তিন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি– ১. প্রিভেনটিভ মেজার, ২. ইনসিডেন্ট রেসপন্স ও ৩. পোস্ট ইনসিডেন্ট রেসপন্স। পাশাপাশি সাইবার হামলার ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি– আক্রান্ত হলে ওয়েবসাইটটা অফলাইনে নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত পাসওয়ার্ড আপডেট করা, যেকোনো পোর্টালে লগইনের ক্ষেত্রে মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করা, সিকিউরিটি অডিট করা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি, টেলিকম, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে।

পলক বলেন, আমাদের ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলো যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি কো-অর্ডিনেট কমিটি গঠন করবো, যেটি বৈঠক করে ব্যবস্থা নেবে।

প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করার পরামর্শ দিয়ে পলক বলেন, লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।

বৈঠকে ৩৫টি কেপিআই-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান সাইবার নিরাপত্তা অবস্থা পর্যালোচনা শেষে পরিস্থিতি তুলে ধরেন পলক।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাকিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, ভিপিএনের জন্যই ধীরগতি
ইন্টারনেটের মূল্য-কলরেট কমানোসহ ৫ দাবি
মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড বাড়াবেন যেভাবে
বাংলাদেশে ভিপিএন কি বৈধ নাকি অবৈধ