সবচেয়ে ভয়াবহ ৪ কবিরা গুনাহ 

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ০৯:৪২ এএম


সবচেয়ে ভয়াবহ ৪ কবিরা গুনাহ 
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে অসংখ্য কবিরা গুনাহের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ভয়াবহ হলো চারটি গুনাহ। ত হলো- আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; কোনো ব্যক্তিকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করা; পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা বলা অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (সহিহ বোখারি: ৬৮৭১)

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ গুনাহ চারটি। সেগুলো হলো- ১. আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; ২. কোনো ব্যক্তিকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করা; ৩. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া; ৪. মিথ্যা বলা অথবা তিনি বলেছেন মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (সহিহ বোখারি: ৬৮৭১)

বিজ্ঞাপন

এ হাদিসে যে ৪টি গুনাহের কথা বলা হয়েছে

আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা

আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ হলো শিরক করা। কোরআনে শিরকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জুলুম বলা হয়েছে এবং বিভিন্ন আয়াতে বারবার শিরক থেকে বেঁচে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরক ক্ষমা করবেন না।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে বলা হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ তার সঙ্গে শরিক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে সে এক মহাপাপ করে। (সুরা নিসা : ৪৮)

বিজ্ঞাপন

কোরআনে আরও বলা হয়েছে, আর যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (সুরা মায়েদা: ৭২)

অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করা

ইসলামে মানুষ হত্যা দণ্ডণীয় অপরাধ। দুনিয়াতে ও আখেরাতেও এর শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা জমিনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করলো সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন সব মানুষকে বাঁচালো। (সুরা মায়েদা: ৩২)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম; যাতে সে স্থায়ীভাবে থাকবে, তার ওপর আল্লাহর ক্রোধ ও অভিশাপ এবং আল্লাহ তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সুরা নিসা: ৯৩)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুসলিমকে গালি দেয়া গুনাহের কাজ এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা কুফুরি। (সহিহ মুসলিম: ১২৪)

বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়া

আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বল। তাদের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’। (সুরা ইসরা: ২৩, ২৪)

আয়াতটিতে বাবা-মায়ের আচরণে বিরক্ত হয়ে ‘উফ’ শব্দটি বলতেও নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তারা কষ্ট পান এমন ছোট বড় যেকোনো কথা, কাজ বা আচরণ করা নিষিদ্ধ।

মিথ্যা বলা বা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া

আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ,তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক। (সুরা তাওবা: ১১৯)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে এবং আমানত রাখা হলে তাতে খেয়ানত করে। (সহিহ বুখারি: ৩৩)

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে, তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য, ধ্বংস অনিবার্য, ধ্বংস অনিবার্য। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৯০)

আরটিভি/একে

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission | powered by TechnoNext Software Limited.