ঢাকারোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

ই-বর্জ্য থেকে হতে পারে ক্যানসারসহ নানা রোগ

সেলিম মালিক

সোমবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ , ১০:৫৬ এএম


loading/img

যেখানে-সেখানে নষ্ট ইলেকট্রিক পণ্য ফেলায় দিন দিন বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার ও কিডনি জটিলতাসহ নানা রোগ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ই-বর্জ্য। অনেক গবেষক এই বর্জ্যকে পারমাণবিক বোমার সঙ্গে তুলনা করে বলছেন এখই সচেতন না হলে ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে মানবজাতি।

চীনের গুয়াংজু প্রদেশের বিশাল এলাকাজুড়ে প্রযুক্তিনির্ভর দেশটির ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের ভাগাড়। এসব বর্জ্য সংগ্রহ, ভাঙা ও পোড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের ওপর সম্প্রতি জরিপ চালায় আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা- আইটিইউ।

বিজ্ঞাপন

এতে দেখা যায়, শ্রমিকদের ৮০ ভাগই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। ৪০ ভাগ দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছেন, আর ৩০ ভাগ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বাংলাদেশেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় যথেচ্ছভাবে ফেলা হচ্ছে ই-বর্জ্য। ফলে নানা রোগে ভুগছেন এ কাজে জড়িতরা।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : নষ্ট মোবাইল ফোনও হতে পারে ভয়াবহ
-------------------------------------------------------

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগীরা বলছেন, মাথাব্যথা, জ্বর, চর্মে গোটা গোটা দাগসহ নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়। বেশিরভাগ সময় ঠাণ্ডা, নাক বন্ধ ও গলা ব্যথা সমস্যায় পড়তে হয়।

বিজ্ঞাপন

তাই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।

ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ই-বর্জে্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। এ ধরনের সমস্যাগুলো শিশুদের নানাভাবে প্রভাব ফেলে। নারীরা সন্তান জন্মদানে অক্ষম হতে পারে। এমনকি এ থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ই-বর্জে্যর ইফেক্টগুলো আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারে। প্রভাব মূলত অনেক পরে টের পাওয়া যায়।

গবেষকদের মতে, ই-বর্জ্য পারমাণবিক বোমার মতোই ভয়ানক। তাই এর ব্যবস্থাপনাও করতে হবে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে।

বুয়েটের অধ্যাপক ও ই-বর্জ্য গবেষক ইয়াসির আরাফাত বলছেন, ই-বর্জে্য প্রভাবটা অনেক ভয়াবহ, তাই এর ব্যবস্থাপনা করতে হবে বাস্তবসম্মত উপায়ে। তা না হলে পরিবেশে এর ভয়াবহতা মাইক্রো থেকে ম্যাক্রো লেভেলে চলে যাবে।

পাশাপাশি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান আইনি কাঠামো আরো শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন : 

এসআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |