নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব খান মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এছাড়া অন্য কমিশনাররা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
সোমবার সচিবালয়ে রাত সাড়ে ৯টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
শফিউল আলম বলেন, সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার নাম প্রস্তাব করে। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জরিনা রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) বেগম কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, বিটিএফও (প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও জানিপপের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী নাম প্রস্তাব করে।
রাষ্ট্রপতি তালিকা থেকে কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বচন কমিশনার এবং মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে যান এবং রাষ্ট্রপতির হাতে নামের তালিকা ও প্রতিবেদন তুলে দেন।
কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। তারপরেই দায়িত্ব নেবে নতুন কমিশন। তাদের অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
গেলো বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। ৪ দফায় ৩১ দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এসময় বিভিন্ন দল নিজেদের পছন্দের লোকদের নাম প্রস্তাব করেন রাষ্ট্রপতির কাছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো আইন না থাকায় নতুন করে আইন করার দাবি করে রাজনৈতিক দলগুলো।
তালিকা রাষ্ট্রপতির হাতে, রাত ৯টায় প্রকাশ
ওয়াই/এমকে