ঢাকাবুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঘরোয়া উপাদানেই দূর হবে শিশুর কৃমি

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ :

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১ , ০৬:১৩ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

শিশুদের পেটে কৃমি হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এ সমস্যাকে ছোট করে দেখা একদমই উচিত নয়। আবার এমনটাও নয় যে ঘরোয়াভাবে সমাধান মিলবে এই সমস্যার। প্রায় বাচ্চাদেরই কৃমি হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে বাচ্চা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। মূলত কৃমি হচ্ছে এক ধরনের পরজীবী। এটি শিশুদের অন্ত্রে বাস করে এবং শিশুর খাবার থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে শক্তিশালী হয়ে উঠে।

বিজ্ঞাপন

সাধারণত শিশুদের ফিতাকৃমি বা সুতাকৃমির সংক্রমণ হয়ে থাকে। একটি ফিতাকৃমি কয়েক ইঞ্চি থেকে ৪০ ফুট বা তারও অধিক হতে পারে। দূষিত কোনো খাবার থেকে কৃমির ডিম বা লার্ভা শিশুর পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। সুতাকৃমিকে অনেকে কেঁচোকৃমিও বলে থাকেন। এই সংক্রমণটি খুবই ক্ষুদ্র, সাদা এবং সবসময় নড়াচড়া করে। এটি মলদ্বারে বাস করে এবং স্ত্রী কৃমি মলদ্বারের আশেপাশে ডিম পাড়ে। শিশুদের মধ্যে সবথেকে বেশি সুতাকৃমির সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে।

কৃমি সংক্রমিত বোঝার উপায়: অনেক সময় শিশুর কৃমির সংক্রমণের উপসর্গ বোঝা যায় না। সংক্রমণ হালকা হলে উপেক্ষা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শিশু কারণ ছাড়াই থুতু ফেলতে থাকে। কেননা, কৃমি মুখের লালা বাড়িয়ে দেয়। শিশুর মলে মারাত্মক দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত স্ত্রী কৃমি ডিম দেওয়ার জন্য মলদ্বারে চলে যায়। এ সময় মলদ্বারের চারপাশে জ্বালা ও অস্বস্তির সৃষ্টি করে। পেটে কৃমি থাকলে পেট ব্যথা, অবসাদ, ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস পাওয়া, বমি, ক্ষুধামন্দা ভাব, ঘুমের অভাব, জন্ডিস, খিটখিটে ভাব, পেটে অস্বস্তি, পেট খারাপ, ফুসকুড়ি, আমবাত, কালশিটে এবং অন্যান্য এলার্জির মত ত্বকের অবস্থা, ঘন ঘন গ্যাস এবং পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, আচরণগত পরিবর্তন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিবে।

বিজ্ঞাপন

কেনো কৃমি সংক্রমণ হয়: বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুরা এবং অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করার কারণে খুব সহজেই কৃমি সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মূলত পরিবারের জীবনধারার উপর নির্ভর করে শিশুদের কৃমি সংক্রমণের বিষয়টি। সংক্রামিত পৃষ্ঠতলের সংস্পর্শে আসা, সংক্রামিত খাদ্য বা পানি পান করা, স্বাস্থ্যবিধি বা অপরিচ্ছন্নতার অভাব, কাঁচা বা ভালোভাবে রান্না ছাড়া খাবার খাওয়া, অপর্যাপ্তভাবে হাত ধোওয়া, সংক্রামিত ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসার ফলে সংক্রামিত হয়ে থাকে।

ঘরোয়াভাবে প্রতিকার: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি সন্তানদের কৃমি থেকে মুক্তিলাভের জন্য ঘরোয়া কিছু টিপস মানতে হবে। কাঁচা পেঁপে খাওয়াতে হবে। এতে পাপাইন নামে এনজাইম রয়েছে যা কৃমিনাশক হিসেবে বেশ ভালো কাজ করে। রসুন খাওয়া যেতে পারে। রসুন হচ্ছে প্রাকৃতিক কৃমিনাশক এজেন্ট এবং পরজীবী কৃমি নাশের জন্য কার্যকর একটি উপাদান। কুমড়া বীজে কিউকারবিটাসিন রয়েছে যা কৃমিদের পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে তোলে এবং সেই সঙ্গে তাদের ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেটের কৃমির সঙ্গে যুদ্ধ করতে করলা অনেক সহায়ক। জল এবং মধু মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিতে পারেন। সেই সঙ্গে নিম বীজও বেশ ভালো। এর পরজীবী-বিরোধী বৈশিষ্ট্য অন্ত্রের কৃমি ধ্বংস করে। কেউ যদি এসব খেতে না চায় তাহলে গাজর খাওয়াতে পারেন। গাজরে ভিটামিন-এ থাকে যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে এবং অন্ত্রের পরজীবীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত খালি পেটে গাজর খাওয়ার ভূমিকা অপরিসীম।

সূত্র : হেলথলাইন

বিজ্ঞাপন

এসআর/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |