গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভের স্বীকৃতি ও অভিন্ন বেতন কাঠামোর দাবি

আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১০ মে ২০২৫ , ০৬:৪৮ পিএম


গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভের স্বীকৃতি ও অভিন্ন বেতন কাঠামোর দাবি
ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যমকে সংবিধানে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘গণমাধ্যম সংস্কার : সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন। সবচেয়ে বেশি ইমেজ সংকটে পড়েছিল পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্র। বিচারবিভাগ পরিণত হয়েছিল অবিচারের ঘানিতে আর বয়োজ্যেষ্ঠ সম্পাদকদের তৈলাক্তে সম্মানহানিতে পড়েছিল সাংবাদিকরা। এজন্য আমরা নিজেরাই দায়ী ছিলাম। সম্পাদক নিজের সম্মান বিলিয়ে দেওয়ার মানে সাংবাদিক সমাজকে ইমেজ সংকটের মধ্যে ফেলে দেওয়া।

তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থা সবচেয়ে কলুষিত করেছিল যে ব্যক্তি সেই নাসিমুল গনিকে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। সেখান থেকে কী আশা করা যায়, এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কার্যকারিতা হারিয়ে যায়। তখনই সাংবাদিকদের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেননি। আমাদের নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদ এলিট শ্রেণির। কেউ কেউ বলেন নোয়াব নাকি নবাব। আমার দেশ পত্রিকা সেই এলিট থেকে আলাদা, ওই শ্রেণিতে নেই। আমরা গণমানুষের হয়ে থাকতে চাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আব্দুল্লাহ, ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে তথ্য জানার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত, জাতীয় গণমাধ্যম পুরস্কার প্রবর্তন, মিডিয়া তালিকাভুক্তি, সুনির্দিষ্ট ডিক্লারেশন আইন প্রণয়ন ও স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের দাবিও জানানো হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সহসভাপতি গাযী আনোয়ার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব মো. মিয়া হোসেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব মো. মিয়া হোসেন। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেছে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর অ্যাপ ট্যাপট্যাপ সেন্ড। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, সুমন চৌধুরী, মো. সলিম উল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

 

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission