• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
দেশের রাজনীতিতে আ.লীগের কবর রচনা হয়েছে: নুর
‘আগামী নির্বাচনে পরাজিত শক্তির কেউই অংশ নিতে পারবে না’
আগামী নির্বাচনে পরাজিত শক্তির কেউই অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি জুনাইদ আল হাবিব। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। জুনাইদ আল হাবিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে যে বিপ্লবী সরকার গঠন হয়েছে, আমরা গত ৫ মাসে তাদের মধ্যে বিপ্লবী কোনো কিছুই দেখি না।  তিনি বলেন, সরকার আরও বিপ্লবী হবে, পরাজিত শক্তির দোসর এবং তাদের সহযোগী যে যেখানেই আছে প্রত্যেককে ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্ত্বরের গণহত্যা কেও ঘোষণাপত্রে সংযোগ করতে হবে। সে কথাটা আমরা বলে এসেছি।  জুনাইদ আল হাবিব আরও বলেন, ২০২১ সালে পাখির মত গুলি করে ওলামায়ে কেরামকে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার ওলামায়ে কেরামকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর জেলখানায় বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে, সেটাও এখানে উল্লেখ থাকতে হবে। এর আগে, এদিন বিকেল ৪টার পর ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। তখন এনিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। আরটিভি/আরএ-টি
ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত: নাসীরুদ্দীন
ক্ষমতায় আসার আগেই একটি দল চাঁদাবাজি ও দখলদারি শুরু করেছে: আবু হানিফ 
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক
অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ মাসে গুণগত কোনো পরিবর্তন দেখছি না: মান্না
দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামা হবে: কর্নেল অলি
অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মজবাজারে এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুশিয়ারি দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ প্রমুখ। জুলাই মাসে ছাত্র-জনতা ও রাজনীতিবিদরা একত্রে মাঠে নামলে হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে কর্নেল অলি বলেন, ৫ আগস্ট এমনিতেই বিজয় অর্জন হয়নি। এটি রাজনীতিবিদদের ত্যাগ, দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে হয়েছে। রাজনীতিবিদরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আন্দোলন করে মাঠ উত্তপ্ত করেছে।  আমাদের সর্বাগ্রে দাবি হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন মন্তব্য করে এলডিপি সভাপতি বলেন, আমরা যারা বিরোধী দলে ছিলাম আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে ৩০০, ৪০০, এমনকি ৫০০ পর্যন্ত মামলা হয়েছে। ৫ আগস্ট বিজয় এসেছে রাজনীতিবিদদের শ্রমের কারণে। নির্বাচিতরা সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কবে হবে। কীভাবে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। সংস্কারের কোনো আলামত দেখছি না উল্লেখ করে কর্নেল অলি আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার চাই। গত ৬ মাসে কোনো দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আশানুরূপ সংস্কার কাজে অগ্রগতি না হওয়ায় জাতি হতাশ। জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনেক কিছু আশা করেছিল। আমি মনে করি তারা অপারগ। তাদের সেই দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মস্পৃহা নেই। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে এলডিপি সভাপতি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বর্তমান সরকার জনরোষে পড়বে। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টারা ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করছে না।   আরটিভি/কেএইচ/এস
অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কিছুদিন রাখতে হবে: ভিপি নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশকে ভালো রাখতে হলে এ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করতে হবে। আমাদের নিজের ভালোর জন্য এ সরকারকে আরও কিছুদিন রাখতে হবে। রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির আহত ছাত্র-জনতার উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে আহত এবং নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশকে ভালো রাখতে হলে এ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করতে হবে। আমাদের নিজের ভালোর জন্য এ সরকারকে আরও কিছুদিন রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল সরকার ছোট ছোট কিছু জায়গায় তাৎক্ষণিক কিছু ভূমিকা নেবে। তড়িৎ অ্যাকশন নেবে। সেটি কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আজ সাড়ে পাঁচ মাসে কেন আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, যে তরুণদেরকে নিয়ে মানুষ গর্ব করে, অহংকার করে, আমাদের সেই ছাত্র তরুণরাই জুলাই ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তাদের কাছে কেন আমলাতন্ত্রের জটিলতা থাকবে। তাদের অফিসে কেন লালফিতার দৌরাত্ম্য থাকবে। সরকার এবং জুলাই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিহতদের নিখুঁত তালিকা এবং আহতদের তালিকা করে; আহতদেরকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে। নিহতদের ১ কোটি টাকা করে দিতে হবে। এই সরকারের প্রথম এবং প্রধান কাজ উচিত ছিল আহতদের খুঁজে খুঁজে বের করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। এ ছাড়াও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সরকারের উচিত ছিল। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ইতোমধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মালিক কে, কোন দলের কতজন মারা গেছেন, কোন দলের কি কন্ট্রিবিউশন, সেই প্রতিযোগিতা লেগেছে। যদিও এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। কারণ, এটা কোনো রাজনৈতিক দলীয় আন্দোলন ছিল না। এটা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একটা গণ-আন্দোলন ছিল। এই গণ-অভ্যুত্থানে সবাই অংশগ্রহণ করেছে। কাজেই এখানে কাউকে জামায়াত শিবির, বিএনপি, গণঅধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা, ইতিহাসের সামনের দিকে এটা ভালো কিছু হবে না। তিনি বলেন, এখনো কেউ টের পাচ্ছেন না। কেউ দল গঠন নিয়ে ব্যস্ত, আবার কেউ ধান্দা নিয়ে ব্যস্ত। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে আছেন। অথচ যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করলাম, সেই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে কোনো দলের আওয়াজ নেই। বরং সবাই তাদের রাজনৈতিক স্পেস দিতে চায়। আগামী নির্বাচনে সুযোগ দিতে চায়। নুরুল হক নুর বলেন, বিএনপির বিকল্প যদি শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক দল গড়ে না ওঠে, আবারও আওয়ামী লীগের আসার সুযোগ থাকবে। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ভারত হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করবে। কাজেই আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আওয়ামী লীগকে এ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। নুর বলেন, এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল। সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছে। এ বিভাজন বিভক্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ গণঅভ্যুত্থানের সরকার, অন্যান্য সরকারের মতো তিন মাসের জন্য নির্বাচনের সরকার নয়। এ গণঅভ্যুত্থানের সরকার রাষ্ট্র পুনর্গঠনে, রাষ্ট্র সংস্কারে আমাদের সমর্থিত সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলো পাঁচ মাসের তাদের কর্মকাণ্ড আমাদেরকে হতাশ করেছে। তিনি বলেন, এ সরকার যদি রাষ্ট্র সংস্কার করতে না পারে, নির্বাচিত সরকার সেভাবে আর পারবে না। সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। দূরত্ব কমিয়ে আনুন এবং রাষ্ট্র সংস্কারে ঐকমত্য করুন। প্রয়োজনে জাতীয় সরকার করে রাষ্ট্রের সংস্কার করুন। আরটিভি/একে
নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবি গণঅধিকার পরিষদের 
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের ‘নিরপরাধ’ দাবি করে তাদের জামিন চেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।  তিনি বলেন, বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যায় ভাবে যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুর্নবহাল করতে হবে। হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিলো সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আগামী ১৯ জানুয়ারি জামিন শুনানি রয়েছে, যারা অন্যায় ভাবে কারাগারে আটক রয়েছে তাদের সবাইকে জামিন দিতে হবে। যদি জামিন না দেওয়া হয় তাহলে আইন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ঢাকা জেলার উদ্যোগে তিন দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আবু হানিফ এসব কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ এই সদস্য  বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ভারতের মদদে ২০০৯ সালে সেই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ তখন একটি ন্যারেটিভ তৈরি করার চেষ্টা করে যে সেটা বিডিআর বিদ্রোহ ছিলো, প্রকৃত পক্ষে সেটা বিডিআর বিদ্রোহ নয় সেটা ছিলো ভারতের মদদে পরিকল্পিত একটা হত্যাকাণ্ড। তিনি আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সেই ঘটনায় তদন্ত কমিশনকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সেখানে যে বির্তকিত ধারাটি রয়েছে তা বাতিল করতে হবে। এ মানববন্ধনে বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা ও কারাগারে আটক বিডিআর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন ৫ সেল গঠন
সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন পাঁচটি সেল গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নবগঠিত সেলগুলো হলো শহীদ পরিবার ও আহত কল্যাণ, দপ্তর সেল, প্রচার ও প্রকাশনা সেল, আইসিটি সেল এবং তথ্য ও জনসংযোগ সেল। জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সেলগুলো গঠন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।  এগুলোর মধ্যে শহীদ পরিবার ও আহত কল্যাণ সেলের সেল সম্পাদক করা হয়েছে ডা. মাহমুদা আলম মিতুকে। এছাড়া সেলের সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন তামিম আহমেদ, শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, মো. রাকিব হোসেন এবং কাজী আশরাফুর রহমান।  দপ্তর সেলের সম্পাদক করা হয়েছে মনিরা শারমিনকে। এ সেলের সদস্য করা হয়েছে হাসান আলী খান ও আবু সাঈদকে।  প্রচার ও প্রকাশনা সেলের সম্পাদক হয়েছেন মো. আরিফুর রহমান। আর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন খান মুহাম্মদ মুরসালিন, মীর আরশাদুল হক ও আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ।  আইসিটি সেলের সেল সম্পাদক হয়েছেন মো. ফারহাদ আলম ভুঁইয়া এবং সদস্য হিসেবে আছেন মো. আজহার উদ্দিন অনিক, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, রাফিদ ভুঁইয়া এবং তারিক আদনান মুন।  এ ছাড়া তথ্য ও জনসংযোগ সেলের সেল সম্পাদক করা হয়েছে মামুনুর রশীদকে। সেলটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন মশিউর রহমান ও তামিম আহমেদ। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন আমির মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পঞ্চম আমির নির্বাচিত হয়েছেন শায়খুল হাদীস পরিষদের পৃষ্ঠপোষক শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক। এ ছাড়া দলটির মহাসচিব হয়েছেন জালালুদ্দীন আহমদ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত মজলিসে শুরার অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে তারা মনোনীত হন। এ উপলক্ষে শায়খুল হাদিস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মাওলানা মাহফুজুল হক, সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শুরা সদস্যরা যথাসময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহির হাতে গড়া এ সংগঠনের নেতৃত্ব একজন যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির হাতে অর্পিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর আল্লামা আজিজুল হক নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন, আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী যুব শিবির, ভাসানীর ন্যাপের একাংশের নেতা, তমদ্দুন মজলিসের সংগঠক ভাষাসৈনিক মাসউদ খানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠত হয় খেলাফত মজলিস। প্রথম আমির ছিলেন আবদুল গফফার। তারপর আমির হন আল্লামা আজিজুল হক। তার অবর্তমানে আমির হন মাওলানা হাবিবুর রহমান।  ২০০৫ সালে খেলাফত মজলিস দুই ভাগ হয়ে যায়। একটি ভাগ খেলাফত মজলিস নামে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে যায়। অপর ভাগটি জোট থেকে বেড়িয়ে গিয়ে ‘বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’ নাম ধারণ করে।   ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ৫ দফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তিতে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ছিল, তারা নির্বাচিত হলে কুরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন করবে না। তবে বামপন্থীদের চাপে ওই চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। আরটিভি/এফএ
শতাধিক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানোর অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি
ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।  শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির অবস্থান তুলে ধরেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে বিকল্প হিসেবে কয়েকটি প্রস্তাবও তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। লিখিত বক্তব্যে আখতার হোসেন বলেন, সম্প্রতি সরকার রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর জন্য দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায়ের খরচ বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকার তার রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য করের আওতা বাড়াবে, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে যে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে নেমে না যায় এবং তাদের ভোগান্তি যাতে না বাড়ে। তিনি বলেন, বিগত অবৈধ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভঙ্গুর ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে। এ অবস্থায় বিগত অবৈধ সরকার আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যেকোনো দেশের জন্য আইএমএফের ঋণ হলো ঋণপ্রাপ্তির সর্বশেষ আশ্রয়। এই কঠিন ঋণের শর্ত হিসেবে কয়েকটি ধাপে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি এ অধ্যাদেশগুলো জারি করেছে। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকারের কাছে প্রশ্ন—অবৈধ সরকারের ঋণের এই শর্ত বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনার জন্য আইএমএফকে আহ্বান জানিয়েছে কি? তা স্পষ্ট নয়। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকার একটি অবৈধ সরকারের চুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে পারে না। এ সময় টিসিবির ট্রাক সেল চালুর দাবির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে বিকল্প হিসেবে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরে আখতার হোসেন বলেন, সরকার এ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ করের আওতা বাড়াতে পারে, যা সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনমানের ক্ষতি করবে না। প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে অবশ্যই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বিদ্যমান করের কাঠামোয় যে সীমাহীন দুর্নীতি হয়, তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিলে রাজস্ব আয় বাড়বে। তিনি বলেন, বিগত সরকার ১৫ সময়ে বিদেশে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে বলে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে। সেগুলো দেশে ফেরত আনার জন্য সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে ও খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। এগুলো আদায়ের উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যমান অর্থঋণ আদালত (২০০৩) সরকারকে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করার যাবতীয় আইনি সুযোগ দিয়েছে। সরকার এ সুযোগ ব্যবহার করে দ্রুত একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে খেলাপি অর্থ আদায় ও অনাদায়ে তাদের সম্পত্তি ক্রোক করতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, সহমুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এফএ-টি
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে যা বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল ছলচাতুরী করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করলে তা সফল হতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনাকে যে জন্য পালিয়ে যেতে হয়েছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে যদি সে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে ছাত্র-জনতা আবারও রক্ত দিতে প্রস্তুত। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রিকশাচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, প্রতিনিয়ত যেসব রাজনৈতিক দল রাস্তায় চাঁদাবাজি করছে, অবিলম্বে তাদের তা বন্ধ করতে হবে।  এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তাদের দোসরদের দ্রুত বিচার করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক চাপের কাছে নত হওয়া যাবে না। বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ এনে নাগরিক কমিটির এই নেতা বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই আমরা সরকারের কাছ থেকে ঘোষণাপত্র চাই।   আরটিভি/আইএম/এস