• ঢাকা বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
logo
দলের গোলামি করলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি করতে পারবেন না: নুর
জাগপার সভাপতি লুৎফর, সম্পাদক রিয়াজ
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দলের বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জাকির হোসেন রিয়াজ।  মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীতে জাগপার এক বর্ধিত সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় খন্দকার লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। বর্ধিত সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, সহসভাপতি প্রফেসর এজেডএম সাইফুল আজম, মির্জা আখতারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, এসকে মো. আবুল হোসেন খোকন, শাহীন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম
আমরা চাই দ্রুত সংস্কার শেষ করে ভোট হোক: মান্না
যে আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন নুরুল হক
৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ: নুরুল হক
মার্কায় ভোট হবে, ব্যক্তিতে নয়: ফয়জুল করীম
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে তার নিজ সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে বিএনপি তাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়; যা আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চিঠিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু ও সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টিকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই তার সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।  চিঠিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার থানা, উপজেলা বা পৌরসভায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আদেশ অতীব জরুরি। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা পেয়েছি। ইতোমধ্যে ওই আসনের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের অবহিত করা হয়েছে। এদিকে, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন। তবে নুরুল হক নুরের বাড়িও এ আসনে হওয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনে হাসান মামুন ও নুরের মধ্যে হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের জোট হলে এ আসনে জোটের মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারেন নুর। সে কারণে স্থানীয় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যাতে বিরোধ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসান মামুন বলেন, এই চিঠির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচিতে গেলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক তাকে বাধাগ্রস্ত করে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে উলানিয়ায় তার ওপর হামলা হয়েছিল। পুনরায় যাতে কেউ এ রকম ঘটনা না ঘটাতে পারে, সেই লক্ষ্যেই মূলত বিএনপির সহযোগিতা করার নির্দেশ। এটা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয় জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে বলেন, গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিল। পাশাপাশি বিগত দিনগুলোতে আমরা বিএনপিসহ ৪১টি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তবে সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সে কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আরটিভি/আইএম-টি
নির্বাচনী সংস্কারে সরকারকে সময় দেওয়া দরকার: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। মানুষ যেন নিজেদের পছন্দমতো ভোট দেয়। সরকারের প্রথম কাজ থাকবে দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচন দেওয়া। এতে যত সময় লাগবে সব দলের সে সময়টুকু এ সরকারকে দেওয়া দরকার। সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৮০ দিন-গতিমুখ ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।    মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮০ দিনে তিনটি ভালো কাজ করেছে। রেমিট্যান্সের সংকট নিরসনে কাজ করে দেশের অর্থনীতি যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে ব্যবস্থা করেছে। তিন বিলিয়ন ডলারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে পেরেছে এবং দুবাইতে যারা আটক ছিলেন ড. ইউনূস এক ফোনকল দিয়ে তাদের মুক্ত করতে পেরেছেন। তবে পুলিশের মধ্যে এখনও ঘুষ লেনদেন চলে। এগুলো এখনও সরকার বন্ধ করতে পারেনি।  তিনি বলেন, এ সরকার ধান্দাবাজ, ক্ষমতায় থাকতে চায় এমনটা আমি মনে করি না। ভোটের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত নির্বাচন না হয় রাজনৈতিক দলগুলোকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতিকে হটানোর বিষয়ে ছাত্রদের মুভমেন্টগুলো খুব ভালো ম্যাসেজ দেয় না। তিনি আরও বলেন, এই সরকারের ব্যর্থতা আমরা চাই না। সরকার যাতে বোঝে সেটা চাইছি। দেশের মানুষের মনের আকুতি মোতাবেক জাতীয় ঐক্য নিয়ে সরকার যেন কাজ করে এটাই আহ্বান।  আরটিভি/এমএ/এসএ
জাতীয় সরকার গঠনের বিকল্প নেই: রাশেদ খান
চলমান নানা সংকট থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় সরকার গঠনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। রোববার (২৭ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাশেদ খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো অবৈধ রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেওয়া। এ অবস্থায় চলমান নানা সংকট থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় সরকার গঠনের বিকল্প নেই।   বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান থাকবে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সব দলের সঙ্গে সংলাপ করার। রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিক সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মতামত নেওয়ারও প্রয়োজন আছে। দলগুলো ঐকমত্যে না এলে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ কঠিন হয় পড়বে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান লেখার জন্য প্রোক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক ঘোষণা, রাষ্ট্রপতির অপসারণ এবং গত তিনটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ এ বিষয়ে একমত হয়েছে।   এর আগে, ১২ দলীয় জোটের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দাবির সঙ্গে একমত হলেও সংবিধান ও রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান জানায় ১২ দলীয় জোট। আরটিভি/এফএ
জাতীয় পার্টির একাংশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধীদের বৈঠক
বিএনপির পর এবার জাতীয় পার্টির একাংশ (কাজী জাফর)-এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। রোববার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য বৈঠকে বসেছে সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা। এর আগে, শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে সংগঠন দুটি। বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমত, প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে করা যায়, সেটি নিয়ে কথা বলেছি। দ্বিতীয়ত, চুপ্পুর অপসারণ দ্রুততম সময়ে কীভাবে করা যায়, রাজনৈতিক চেতনা কীভাবে তৈরি করা যায়, যেকোনো ধরনের সংকট কীভাবে পরিহার করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্য কীভাবে ধরে রেখে সরকারের সার্বিক ফাংশনিংয়ের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখা যায়, সেই বিষয়ে কথা বলেছি।’ আরটিভি/এসএপি-টি
‘শেখ হাসিনা চট করে ঢুকবেন, ফট করে জেলে যাবেন’
শেখ হাসিনা চট করে দেশে ঢুকবেন, ফট করে জেলে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত খেলাফত মজলিসের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেন তিনি। ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ‘গর্ব করে তিনি বলতেন শেখ হাসিনা পালায় না। এখন শেখ হাসিনা মাথা নিচু করে পালিয়ে আছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আমাদেরকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তার, হয়রানি, গুম সব করা হয়েছে। ১৬ বছরে অত্যাচারের ১৬ কলা পূর্ণ হওয়ার পর শেখ হাসিনা আর সময় পায়নি। তাকে পালাতে হয়েছে।’  তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমার-আপনার ভাই মারা গেছে। শেখ হাসিনার পরিবারের কেউ মারা যায়নি। শেখ হাসিনার বাবা স্বাধীনতার ঘোষক নন কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামীও নন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বাবা পাকিস্তানে বন্দি ছিল।’ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিকল্প নেই। একেকটি আসনে ইসলামী দলের প্রার্থী দিতে হবে। যে স্বপ্ন বাঁচার, যে স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার সেটা নস্যাৎ করতে দেওয়া যাবে না। আমরা প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্র চাই। আমরা বলতে চাই বাঙালীর কণ্ঠরোধ করা যায়, দমিয়ে রাখা যায় না। শুধু প্রয়োজন হলো জেগে ওঠার।’  এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ নিয়াজী কর্মী সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। আরটিভি/এসএপি-টি
২৫১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা এলডিপির
কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর রেদোয়ান আহমেদকে মহাসচিব করে ২৫১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোণা করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এলডিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ বীর বিক্রম। কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়েছে সাবেক এমপি মো. নুরুল আলম, ড. নেয়ামুল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহামুদ মোরশেদ, অধ্যক্ষ কে কিউ ই সাকলায়েন, সাবেক জেলা প্রশাসক মো. হামিদুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট চৌধুরী এ এম খায়রুল কবির খান পাঠান ও অধ্যাপক ওমর ফারুককে। অধ্যাপক ড. এম এ গফুর, সিরাজ হক সিরাজ, জাফর আহমদ চৌধুরী, মোকফার উদ্দিন চৌধুরী (মাহে আলম), জাহাঙ্গীর রেজা চৌধুরীকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। উপদেষ্টা করা হয়েছে সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ইলিয়াছ তালুকদার, এ কে এম শামশুল হক, অ্যাডভোকেট মো. মোকলেসুর রহমান, অধ্যক্ষ আবদুস সালাম, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক মোছা. কারিমা খাতুন, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, অধ্যাপক শামসুন নাহার সিদ্দিকা, সৈয়দ নাজমুল আরেফিন ইসলাম (কামাল), ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আজিজ, এ টি এম জাহিদ হাসনাত বুলবুল, মো. আশেকুল ইসলাম পানুকে। বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক, রিয়াসাদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট মোসা. উম্মে শাহিদা মাহাফুজা হককে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানকে দপ্তর সম্পাদক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), ওমর ফারুক সুমনকে সহ-দপ্তর সম্পাদক এবং অধ্যক্ষ আবু তাহের, সাইদুর রহমান রূপা চৌধুরী, এস এম শফিউল আজম জুয়েল, মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, অ্যাডভোকেট এইচ এম নুরে আলমকে। আরটিভি/আরএ
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি নুরের
অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। এ ছাড়া কেউ যেন একইসঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধানের দায়িত্বে না থাকতে পারে, সে ব্যবস্থাও চান তিনি।  শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান নুর। তিনি বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব ভালো না। যে একবার ক্ষমতা যায়, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রশাসনসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০২১ সালে দল ঘোষণার সময়ই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র, কার্যকর সংসদ, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সংখ্যানুপাতি নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। একইসঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান নয়। দলীয় প্রধান একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকার প্রধান পুরো রাষ্ট্রের। সেজন্য আমরা বলেছি একইসঙ্গে কেউ দলীয় প্রধান ও রাষ্ট্র প্রধান হতে পারবে না।  গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে সে ধরনের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, মানুষ আর প্রথাগত রাজনীতির পথে হাঁটতে চায় না। তাই আমাদেরও বদলাতে হবে।  নুর বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে ভারত ১৫ বছর সমর্থন করেছে। শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে; যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং গণহত্যাকারীদের সমর্থন করায় ভারতের দুঃখপ্রকাশ করা উচিত।  তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বিগত সময়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে রাজপথে ছিলো, নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই আন্দোলনে আমাদের জেলে যেতে হয়েছে, উপদেষ্টাদের নয়। সরকার ব্যর্থ হলে দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। তাই আমরা চাই না, সরকার ব্যর্থ হোক। কিন্তু এ ধরনের সরকারের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই রাষ্ট্র সংস্কার ও সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের সরকার দরকার।  এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ প্রমুখ।   আরটিভি/এসএইচএম-টি