• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
উপদেষ্টাদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ্যে আনার দাবি গণ অধিকারের
ড. কামালকে ইমেরিটাস সভাপতি করে গণফোরামের কমিটি ঘোষণা
ড. কামাল হোসেনকে ইমেরিটাস সভাপতি করে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন শেষে এ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি এবং ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট গণফোরামের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটির অন্যরা হলেন সভাপতি পরিষদ সদস্য এস এম আলতাফ হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, এ. কে. এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, মোশতাক আহমেদ, ফজলুল হক সরকার, সেলিম আকবর, সুরাইয়া বেগম, হারুনুর রশিদ তালুকদার, শ্রী রতন ব্যানার্জি, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, আবুল হাসনাত, নিলেন্দু দেব, গোলাম হোসেন আবাব, কাজী মেজবাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বাদল, কোষাধ্যক্ষ শাহ নূরুজ্জামান, সম্পাদক পরিষদ আয়ুব খান ফারুক, অধ্যক্ষ মো.ইয়াছিন, লতিফুল বারী হামিম, রফিকুল ইসলাম পথিক, মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, এ কে এম রায়হান উদ্দিন, আলীনূর খান বাবুল, শরীফুল ইসলাম সজল, মো. নাজমুল ইসলাম সাগর, মামুনূর রশিদ মামুন, মির্জা হাসান, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, আব্দুল হামিদ মিয়া, বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলী, মোশারফ হোসেন তালুকদার, তাজুল ইসলাম, রনজিদ সিকদার, আজিজুর রহমান ভূঁইয়া মজনু, সানজিদ রহমান শুভ, আজাদ হোসেন, প্রভাষক বকুল ইমাম, মোমেনা আহমেদ মুমু, খনিয়া খানম ববি, মো. আশরাফুল ইসলাম, তৌফিকুল ইসলাম পলাশ, মো.আলী লাল, মো. সাইফুল ইসলাম, মো মজিবুর রহমান শিবলু, মাহফুজুর রহমান মাসুম ও ফারুক হোসেন। এর আগে, এদিন সকাল ১০টায় গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বিকেল ৩টায় মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে উত্থাপিত সাংগঠনিক প্রস্তাব, রাজনৈতিক প্রস্তাব ও অর্থবিষয়ক প্রস্তাবের ওপর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা আলোচনা হয়। আরটিভি/আরএ
জনগণের দাবির প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে: নুর
ভারতে মুসলমানরা নির্যাতিত হলে প্রতিবাদ জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বান
চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে হেফাজতের লংমার্চের ডাক
দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: শায়েখে চরমোনাই
ইসকনের নামে আ.লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে আসার চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত কোনো হিন্দু ভাইদের গায়ে ফুলের টোকাও পড়েনি। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ও চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আহমদ আলী বলেন, লুট করা টাকা এখন খরচ করছে। সেসব ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। প্রশাসনের কাছে দাবি অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, ইসকন কোনো হিন্দু সংগঠন নয়, তারা একটি জঙ্গি সংগঠন। ভারত এই দেশকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে, সেটা সফল হতে দেওয়া যাবে না। এ সময় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন।  তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে নই, তবে ৯০ শতাংশ মুসলিমের এই দেশে এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না। ইসকনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। নইলে আগের মতো কেউ পালাবার পথও পাবেন না। জালাল উদ্দিন বলেন, ইসকনের বিরুদ্ধে বলা মানে হিন্দু ভাইদের বিরুদ্ধে বলা নয়। আমাদের হিন্দু ভাইদের আমরা নিরাপত্তা দেব। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের এক বৈঠকে এ বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। এ সময় মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতি বশিরুল্লাহ, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মুফতী আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন, মাওলানা বশিরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান। এসব কর্মসূচি থেকে ইসকনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। আরটিভি/আইএম
ইসকনের নামে আ.লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজত
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে আসার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ও চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আমির আহমদ বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো হিন্দু ভাইয়ের গায়ে একটি ফুলের টোকাও পড়েনি। ফ্যাসিবাদের দোসরদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আওয়ামী লীগ ইসকনের ওপর ভর করে আবারও আসতে চায়। কিন্তু এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না। দলটির আরেক নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, ইসকন কোনো হিন্দু সংগঠন নয়, তারা জঙ্গি সংগঠন। ভারত এই দেশকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে, সেটা সফল হতে দেওয়া যাবে না। সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমীসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আরএ/এআর
ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না: নজরুল ইসলাম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না, তাদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদ সরকার বিদায় নিয়েছে।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের মোকাবিলায় আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে, তাদের একত্রিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। যেসব ছাত্র-জনতা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বর্তমান সরকার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, যেখানে জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত, দেশের মানুষ বহু রক্ত দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরও আমরা একদলীয় শাসন, সামরিক স্বৈরশাসন এবং গণতন্ত্র হত্যার সাক্ষী হয়েছি। আজকের শাসকেরাও সেই ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রকে অর্থহীন করেছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মোহাম্মাদ আজম খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি এনায়েত উল্লাহ হাফেজজী, মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ। আরটিভি/একে
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ
ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি ও চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। এ সময় মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতি বশিরুল্লাহ, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মুফতী আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন, মাওলানা বশিরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান। এসব কর্মসূচি থেকে ইসকনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। আরটিভি/আইএম/এস
ফ্যাসিস্টরা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচাররা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। তারা গত ১৫ বছরে অবৈধভাবে আয়কৃত টাকা দিয়ে এখন দেশে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই চট্টগ্রামে সহিংস ঘটনা ঘটায়।  বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপির প্রয়াত নেতা মো. শাহজাহান খানের বার্ষিকীর স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। ভিপি নুর বলেন, এখন নিজেদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করার সময় নয়। এতে ফ্যাসিস্টরাই লাভবান হবে এবং ফ্যাসিবাদ আবার  দ্রুত কামব্যাক করবে। তাই আমাদের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির মহাসচিবও জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। এ মুহূর্তে আমাদের জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।  গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন শাহজাহান খানের স্ত্রী আনোয়ারা শাহজাহান, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব মিয়া, শাহজাহান খানের ছেলে ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শিপলু খান, নাতনি ইন্দিরা কায়সার প্রজ্ঞা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  এ স্মরণ সভায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এএএ/এস
হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  সভায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।   সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতী বশিরুল্লাহ, মুফতী মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতী কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম প্রমুখ। আরটিভি/এসএপি/এস  
আ.লীগের আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম: মান্না
রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‌অনেকে ধরেই নিয়েছে এ সরকারের সময় সবকিছু করা যাবে। সব দাবি নিয়ে আসছে। তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) সবকিছু করতে পারবে না। সক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে। দেশ একটা স্বৈরাচারের অধীনে ছিল, সেখান থেকে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন চলছে। আওয়ামী লীগের আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। তারা যা করেছে, তিনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিজেই বলেছিলেন তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি কোনো কিছুরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। সুতরাং জুলাই অভ্যুত্থানকে বিপ্লব বলা যায় না। এখন অনেকে বলছে, এখানে কিছু ভুল ছিল। কেউ বলছে একটা বিপ্লবী সরকার গঠনের উচিত ছিল। এতে সন্দেহ নেই যে, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা কঠিন লড়াই করেছে, সেখানে বিপ্লবী চেতনা ছিল বলেই সম্ভব হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, দেশের সামগ্রিকভাবে একটি পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই আমরা সংস্কার চেয়ে আসছি। যে বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, এখন তারা বলছে এ দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নই। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন ভঙ্গুর অবস্থা। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সহায়তা দিতে সাহস পাচ্ছে না তখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা চলে আসছে।   তিনি বলেন, কেউ বলছে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন, কেউ বলছে আগে নির্বাচন। সংস্কার শেষ করে ভোট-এ কথার ভিত্তি নেই। ভোট হবে সংস্কারও হবে। ভোটও একটি সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে তাদের (সরকারকে) মিনিমাম কিছু সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার জরুরি। আরটিভি/এফএ-টি