সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, আর্থাইটিস, লিভার, হার্ট ও কিডনিজনিত রোগে এবং করোনা পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও সম্মানিত মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থ দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন এবং সুচিকিৎসার জোর দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, ম্যাডাম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগলেও দেশে কোনো সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পরিকল্পনা মোতাবেক শাস্তি দেওয়ার পর তাকে সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
ড্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনাপূর্বক সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করলেও সরকার কর্ণপাত করেনি। এমনকি তার পরিবারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়া মোতাবেক সরকারের নিকট আবেদন করা সত্ত্বেও ইতিবাচক আদেশ পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় ধারাবাহিকভাবে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থগত অবস্থা জটিলতর হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য, গঠিত মেডিকেল বোর্ড বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার সুপারিশ করা সত্ত্বেও সরকার আমলে নিচ্ছে না।
ড্যাব-এর সিনিয়র নেতারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন, রণাঙ্গনের বীর সেনানী, সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম-এর সহধর্মিণী। অথচ রাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে যতটুকু অধিকার প্রাপ্য তিনি আজ তা থেকেও বঞ্চিত- এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতারই বহিঃপ্রকাশ।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর সভাপতি ও মহাসচিব নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার ও মানবিক দৃষ্টিকোন বিবেচনাপূর্বক অনতিবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে।
এফএ/টিআই