ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদারকে বৎসনা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফলতি হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
জীবিত এক হজযাত্রীকে মৃত দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দেয়ায় হাইকোর্ট তাকে এই বৎসনা করেন।
একইসঙ্গে রিটকারী আজাদ হোসেন ভূঁইয়ার হজে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওসির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়া কবির বিপ্লব। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম খালেদ ও মো. কায়সার জাহিদ ভূঁইয়া।
গেলো রোববার হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদার।
আখাউড়ার বাসিন্দা আজাদ হোসেন ভূঞার হজে যাওয়ার কথা ছিল ১৮ বা ২৯ জুলাই। কিন্তু ২০ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুলিশ প্রতিবেদনে তাকে মৃত বলে দেখতে পাওয়া যায়। পরে তিনি এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন।
এরপর ১৭ জুলাই সোমবার ওসিকে তলব করে রুল জারি করেন আদালত। আদেশে ২৩ জুলাই রোববার হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
রুলে পুলিশ প্রতিবেদনে জীবিত ব্যক্তিতে মৃত দেখানো কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র, ধর্ম, আইজিপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি ও আখাউড়া থানার ওসিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ওসির আইনজীবী বলেন, মোট ১৯৯ জনের পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য আখাউড়ার ওসির কাছে পাঠানো হয়। ওসি ১০ জন এসআই ও একটি ফাঁড়িকে প্রতিবেদন দিতে দায়িত্ব দেন। সবাই রিপোর্ট দিলেও এসআই আবুল কালাম আজাদ টেলিফোনে কম্পিউটার অপারেটরকে এ প্রতিবেদন দেন। যেখানে একজনকে মৃত এবং আরেকজনের বিষয়ে দুটি মামলা আছে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু অপারেটর যার বিরুদ্ধে মামলা আছে তার স্থলে মৃত ব্যক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
আইনজীবী বিপ্লব বলেন, আবেদনে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ওসি।
আর/সি