তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে বিস্ময়কর উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এগিয়ে চলার এ গতি অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম এবং ওশানিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয়। জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রগতি সাধনকারী শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকেও গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় ও বিশ্বের ১৬৭ দেশের মধ্যে ৭৩তম। সাইবার সিকিউরিটি সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং ইসরায়েলের মতো দেশকেও পেছনে ফেলে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২তম।
তিনি বলেন, বর্ষায় বৃষ্টির পর পুঁটি মাছ যেভাবে লাফালাফি করে বিএনপি সে রকম লাফালাফি করছে। বিএনপির লাফালাফি পুঁটি মাছের লাফালাফির মতো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গলা আগের চেয়েও চড়া হয়ে গেছে। যখন বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়। চারদিক ডুবে যায়। তখন কোলা ব্যাঙের আওয়াজ খুব বেড়ে যায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আওয়াজটা কোলা ব্যাঙের আওয়াজ মনে হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচ সদস্য তাদের আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারের কাছে চিঠি লিখল। সেখানে ৭০৫ জন সদস্য রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র পাঁচজন সদস্য চিঠি লিখল। এটা নিয়ে বিএনপির মধ্যে পুলকিত ভাব। এই চিঠির কোনো মূল্য নেই। অন্য কোনো দেশ হলে পত্রিকায় এ চিঠি ছাপাত না। আমাদের দেশে সেটি ছাপিয়েছে। জো বাইডেনের কাছে পাঁচজন চিঠি লিখেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। বাংলাদেশের সমস্ত সংখ্যালঘু সংগঠন এটার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের আর্য বিশপ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এ চিঠি বাস্তবতা বিবর্জিত। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমরা সংখ্যালঘুরা ভালো আছি। আমরা বরং আতঙ্কিত আছি মৌলবাদী শক্তি আবার যদি ক্ষমতা নেয় তখন আমাদের কি হবে সেটা নিয়ে।