নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অনেকেই ছিলেন, অনেকেই আসবেন। তবে বদলে দেওয়া বাংলাদেশের রূপকার একজন শেখ হাসিনাকে হাজার বছরেও পাওয়া যাবে না।
রোববার (১২ নভেম্বর) দিনাজপুরের বোচাগঞ্জস্থ সেতাবগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণে সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন ১৯টি উন্নয়ন কজের উদ্বোধন, ৪৪টি উন্নয়ন কজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের বীজ বপন করতে হবে। শিক্ষকরা ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করবেন। কারণ, নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নাই। এই ভূখণ্ডে আমরা অনেক নেতা পেয়েছি, অনেক সংগ্রাম হয়েছে, অনেক রক্ত দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। কারণ, নেতৃত্বের দুর্বলতা ছিল, নেতৃত্ব সঠিক ছিল না, পরিকল্পনা ভুল ছিল। সঠিক নেতৃত্বই সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতৃত্ব। সেজন্যই তিনি আমাদেরকে আমাদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং পরিচয় দিয়েছেন। যতদিন পৃথিবী থাকবে বঙ্গবন্ধু আমাদের নয়নের মাঝে জ্বলজ্বল করে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন। কারণ, তিনি আমাদের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ দিয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশে অনেক নেতৃত্ব আসলেও পরিবর্তনটা কিন্তু কেউ দিতে পারেনি। আজকে বাংলাদেশ কোথায় চলে গেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ বদলে দিতে শেখ হাসিনা দিন বদলের সনদের কথা বলেছিলেন। আজ তিনি বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার মমতার আঁচল দিয়ে বাংলাদেশকে ঢেকে রেখেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকারপ্রধান না থাকলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যেত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সবকিছুতেই দেউলিয়া হয়ে যেত। তিনি নেতৃত্বে থাকলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই দেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হবে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বয়সেও প্রধানমন্ত্রী যে পরিশ্রম করেন তা চিন্তাও করা যায়। কাজেই সঠিক নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডালিম সরকার, বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুবক্কর সিদ্দিক রাসেলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।