ঢাকারোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

যত টাকার সম্পদ বাড়লো মন্ত্রী তাজুলের 

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ০৫:৩৮ পিএম


loading/img
এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

সম্পদ বেড়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের। ১০ বছর আগে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি টাকা থাকলেও এখন তা ১১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। শুধু বন্ডেই তার বিনিয়োগ রয়েছে ৮০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তাজুল ইসলামের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য জানা গেছে। 

হলফনামায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম নিজেকে পেশায় একজন ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছেন। 

বিজ্ঞাপন

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবারের হলফনামায় তিনি স্ত্রী ও তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় কিংবা সম্পদের কোনও তথ্য উল্লেখ করেননি। মন্ত্রী এখন বছরে আয় করেন ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তার আয় ৪ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল।

তাজুল ইসলাম কুমিল্লা-৯ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। 

মন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১৮ সালে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। চার বছরের ব্যবধানে সেই সম্পদ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শোধ করেছেন ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ঋণও। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কৃষি খাত থেকে আয় বেড়েছে। এবার এই খাতে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ বছর বাড়িভাড়া বাবদ আয় হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৯৩৯ টাকা। ২০১৮ সালে ছিল মাত্র ২২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং ২০১৪ সালে ছিল ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এবার শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় কমেছে তাজুল ইসলামের। এই খাতে তিনি আয় করেছেন ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে ছিল দেড় কোটি টাকা। ব্যবসা থেকেও আয় কমে ১৬ লাখ থেকে ১৪ লাখে নেমেছে। তাজুল ইসলাম এবার সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী দেখিয়েছেন ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে উল্লেখ করেছিলেন ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ফিশিং ও পোলট্রি (মাছ ও মুরগি) খাতে আয় বেড়ে ৪৩ লাখ থেকে ৫১ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালে এই খাতে তাঁর আয় ছিল না।

বিজ্ঞাপন

অস্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে তাজুল ইসলাম বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন বন্ডে, যার পরিমাণ ৮০ কোটি টাকা। ৫ বছর আগে যা ছিল ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগেও বড় লাফ দেখা গেছে। ২০১৮ সালে যেখানে ৬১ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছিল, এখন তা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭৩ লাখে। ২০১৪ সালে ছিল ৩৩ লাখ।

মন্ত্রী তাজুল ইসলামের থাকা গাড়ির মোট মূল্য ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে তার ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ ও একটি কার ছিল, যা তিনি ২০১৮ সালেও উল্লেখ করেছিলেন। মন্ত্রীর দালান, বাড়ি, চা–বাগান, রবারবাগান ও মৎস্য খামারের আর্থিক মূল্য ২০ কোটি ৪ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যার পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং ২০১৪ সালে ছিল ২ কোটি ৬৭ লাখ। তিনি ২০১৮ সালে ৮ দশমিক ৬৭ একর অকৃষিজমি থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন। এবার তা নেই।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |