গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর নির্বাচন ঠেকাতে সর্বদলীয় গণপ্রতিরোধ কমিটির ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখনও সময় আছে- প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে বলব, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ নিন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টনে তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদলসমূহের ডাকা হরতালের সমর্থনে মিছিল শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মিছিলের সময় পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সাথে বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শেষে মিছিল বের করে পুরানা পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড় ঘুরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
নুরুল হক নুর বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে আজকে প্রশাসনকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। ভিন্নমতের রাজনীতি করলেও গ্রামে,পাড়া-মহল্লায় মানুষের যে সম্প্রীতি ছিলো আওয়ামী লীগ সেটাও নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়, তাদের অনেকের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ছিল। কারণ তারা অনেকেই আমাদের পূর্ব পরিচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই-ব্রাদার। তারা কীভাবে আমাদের ওপর হামলা করবে?
জনগণের ভোটাধিকার ও দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ কেন বাধা দিবে? সভা সমাবেশ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যে ইসিকে জনগণ মেনে নেয়নি, তাদের নিষেধাজ্ঞায় কেন আমরা মিছিল-মিটিং বন্ধ করব? আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরাও নির্বাচন চাই। তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অস্তিত্বহীনতার আশঙ্কায় থাকলে প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার হতে পারে। সরকারকে সকল দলের সাথে সংলাপের মাধ্যমে সে উদ্যোগ নিতে হবে।
জনগণের উদ্দেশ্যে নুর বলেন, সরকারকে বাধ্য করতে আপনারা রাজপথে নামুন। পুলিশ যতই বাধা দিক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। যে যেখান থেকে পারেন, সেখান থেকে কর্মসূচি করবে। সর্বদলীয় গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন করে একতরফা নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। সরকারকে বলবো, নিরস্ত্র জনগণের ওপর দমন পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে মিয়ানমারের মতো সশস্ত্র আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিবেন না।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের, আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, সিনি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান,রবিউল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা।