নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের তুখোড় ছাত্রনেতা জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফী আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী রেখে গেছেন।
শফী আহমেদের স্ত্রী তাহেরা খন্দকার জানান, তিনি (শফী আহমেদ) বিকালে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শফী আহমেদের শ্যালক খন্দকার আদিল ইফতেখার দীপ্ত বলেন, তার (শফী) মরদেহ উত্তরায় বাসায় রয়েছে। গোসল করানো হচ্ছে। তার দুই ছেলে কানাডা ও ইংল্যান্ডে রয়েছে। মঙ্গলবার নেত্রকোণায় দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানান, শফী আহমেদের মরদেহ নেত্রকোণায় তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে।
যাদের সাহসী নেতৃত্বে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম শফী আহমেদ। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র, সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অন্যতম শীর্ষ নেতা। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক।
শফী আহমেদ জাসদ থেকে পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দলের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন শফী আহমেদ। কিন্তু সেবার আর নির্বাচন হয়নি।
এরপর গত চারটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি শফী আহমেদ। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন শফী আহমেদ। কিন্তু তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
শফী আহমেদের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। দলের দপ্তর থেকে পাঠানো শোক বার্তায় শেখ হাসিনা শফী আহমেদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।