চীন সফরে যাচ্ছেন রিজভীসহ বিএনপির ৪ নেতা
কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবং জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ৭ থেকে ১৬ নভেম্বর চীনে দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে ‘পলিটিক্যাল পার্টি প্লাস’ কো-অপারেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালসহ আ.লীগের কয়েকজন নেতার অবস্থান জানা গেল
ভারতের কলকাতার ইকোপার্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মিলেছে।
সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তারা।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কলকাতার ইকোপার্কে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বেশ কিছু নেতাকে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজি সেলিমের এক ছেলেসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা।
জানা গেছে, তাদের আড্ডা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আড্ডার কিছুক্ষণ পরে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা পালিয়ে বিদেশ যেতে পারলেও অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেক নেতা গ্রেপ্তারও হয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে।
আরটিভি/এসএপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম এবং সেক্রেটারি হিসেবে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদ দায়িত্ব পেয়েছেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার ফেসবুক পেজে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের হামিদুর রশিদ জামিল।
কমিটিতে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের আব্দুল্লাহ আল আমিন দায়িত্ব পেয়েছেন।
কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এ জন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি-নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রম তদারকি করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটিটি জানুয়ারিতেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদের মুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে এক পোস্টে সাদিক কায়েম নিজেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি ঘোষণা করে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পরেরদিন ২২ সেপ্টেম্বর সেক্রেটারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এস এম ফরহাদ।
আরটিভি/একে
নতুন রাজনৈতিক দল আনলেন নায়ক সোহেল রানা
এবার নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে এসেছেন নায়ক মো. মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। তার দলের নাম রাখা হয়েছে বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি, যা ইংরেজিতে Bangladesh Justice Party হিসেবে পরিচিতি পাবে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভা শেষে এসব তথ্য দেন তিনি।
এ মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে নতুন এ পার্টির। এই দলের প্রতীক হিসেবে শান্তির প্রতীক কবুতর ঠিক করা হয়েছে।
শিক্ষা জীবনে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের এজিএস, ১৯৬৮ সালে পুরো পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতা থাকলেও ২০০৯ সালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন তিনি। পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচনবিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ পান।
বৃহস্পতিবারের সভায় নতুন দলের বিশেষ সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল খানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবারের সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী এম নাজিমুদ্দিন আল আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ তোশারফ আলী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক উপ-মহাপরিচালক ড. ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, নৌবাহিনীর কমোডর (অব.) সানাউল নোমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ও জাতীয় ছাত্রসমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিকুল হাফিজ, রাজনীতিক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার সানাউল্লাহ নূর সাগর, রাজনীতিক ডা. সালাহ উদ্দিন ভুইয়া, বিএলডিপির প্রেসিডিয়াম মেম্বার এম আমানুল্লাহ, মহিলা নেত্রী আনোয়ারা ইসলাম রানী, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাবেক রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব আবদুর রহিম, প্রেস ও পাবলিসিটি সেক্রেটারি কাজী শামসুল ইসলাম রঞ্জন, রাজনীতিক গুলজার হোসেন, রাজনীতিক হিরু রহমানসহ আরও অনেকে।
আরটিভি/এএইচ
বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার
খুলনায় বিএনপির সুধীসমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১টায় মিডিয়া সেলের বরাত দিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নগরীর খালিশপুর থানার ৮ ও ১১নং ওয়ার্ডে বিএনপির সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খালিশপুর থানার ১১নং ওয়ার্ড বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন, ফকির শহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে বিএনপির ৮ এবং ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সুধী সমাবেশস্থলে সামনের চেয়ারে বসা এবং মঞ্চে উঠা নিয়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আরটিভি/এফএ
আওয়ামী লীগমুক্ত নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন
সংস্কার পরবর্তী নির্বাচনে যেন আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, যারা স্বৈরাচার, খুনি, ফ্যাসিস্ট, তারা যেন নির্বাচন করার সুযোগ না পায়, সেটা আমরা উপদেষ্টাদের বলেছি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের নির্বাচন সংস্কারের কথা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জাতীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, তার বেশির ভাগই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না।
তিনি বলেন, প্রতিটা ভোটারের ভোট মূল্যায়ন হবে। জাতীয় সরকার যেটা আমরা বলি, সমস্ত প্রতিনিধিদের দলীয় মার্কায় বাংলাদেশের জনগণ ভোট দেবে। ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি সংসদে দায়িত্ব পালন করবে। এ পদ্ধতির কথা আমরা বলেছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রেজাউল করীম বলেন, ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছে বহু রক্ত, বহু জানের বিনিময়ে। আপনার যে ম্যান্ডেট বা জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন, আপনাদের তো কোনো দুর্বলতা নেই, তাহলে কেন খুনি এবং দেশের টাকা পাচারকারীরা দেশ থেকে পালাল, সেটা আমার বোধগম্য না। এটা জাতি জানতে চায়। জাতি এটা মানতে চায় না। আপনাদের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। আপনাদের উচিত হবে খুনি, টাকা পাচারকারীদের আটকে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, আমরা ৬টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আরও ৯টি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছি। এগুলো হলো– আইনবিষয়ক সংস্কার কমিশন, নাগরিক সেবাবিষয়ক সংস্কার কমিশন, পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার কমিশন, শিক্ষাবিষয়ক সংস্কার কমিশন, বাকস্বাধীনতাবিষয়ক সংস্কার কমিশন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন, শ্রমজীবীবিষয়ক সংস্কার কমিশন, সংখ্যালঘু ও নৃগোষ্ঠীবিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
এদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
জাপা সংলাপে ডাক পেলে বিরোধিতা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপ করছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সংলাপে বিগত সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা) অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
তারা বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হলে তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করা হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পৃথক পৃথক পোস্টের মাধ্যমে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। নিজেদের স্ট্যাটাসে জাতীয় পার্টিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ ও সারজিস আলম ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে আখ্যা দেন।
দলটিকে সংলাপে ডাকার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করবো।
সারজিস আলম লেখেন, জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের কীভাবে আলোচনায় ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা?
আরটিভি/এসএইচএম
রাজধানীতে সমাবেশ করবে জামায়াত
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীতে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ২৮ অক্টোবর দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্ধারিত দিন ছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ওই দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে। জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায় এবং লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে মৃত মানুষের সঙ্গে পৈশাচিক আচরণ করে। এতে শাহাদাত বরণ করেন জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের অসংখ্য ভাই।
তিনি আরও বলেন, সেদিন দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাসে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়। নৈরাজ্য, লুটপাটে হাজার হাজার মানুষ ও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৮ অক্টোবর থেকে আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশের জনগণের ওপর সওয়ার হওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বাকরুদ্ধ ছিল মানুষ, গুম-খুন ও আয়নাঘর ছিল বিরোধীদল এবং ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার। প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বানোয়াট মামলা সাজিয়ে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের। চালু করা হয় ভোট ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠনের বাকশালী সংস্কৃতি।
আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ ও বাকশালী চরিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং শাহাদাতের চেতনা শানিত করার লক্ষ্য সামনে রেখে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এদিকে জামায়াতের ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার সুমন গণমাধ্যমকে জানান, তারা ঢাকায় একটি সমাবেশ করবেন। তবে সমাবেশের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা এবং লগি-বৈঠা দিয়ে নৃসংশভাবে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশটি হতে পারে।
আরটিভি/এফএ