চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস সিঙ্গাপুর যান।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
শনিবার সিঙ্গাপুর স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চাঙ্গি এয়ারপোর্টে পৌঁছান তারা। সিঙ্গাপুর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা মির্জা আব্বাস ও তার পরিবারকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করেন।
আরটিভি/এমএ
মন্তব্য করুন
যে কারণে ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঠাকুরগাঁওয়ে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশে তৃণমূল পর্যায়ে আর্থ সামাজিক যে অবস্থা—এতে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা অপরিসীম। আর এটি অনেক আগেই ড. ইউনূস শুরু করেছেন। সে জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে যে গরিব-অসহায় মানুষ ব্যাংক থেকে সহায়তা পান না, তারা এনজিওর মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষুদ্রঋণের যে মুভমেন্ট তা দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এই পুঁজির কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি জায়গায় পৌঁছেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তৃণমূল থেকে আমার উঠে আসা। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি তা উপলব্ধি করি দেশের প্রত্যেকটি এনজিও তাদের জায়গা থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। এই কাজগুলো সমন্বয় করে মূল অর্থনীতির ধারায় প্রসারিত করা গেলে অবশ্যই অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইদুর রহমান, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি ও ইএসডিওর কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/আরএ/এআর
২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনের বেলায় কোনো এক ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সফরকারীদের মধ্যে রয়েছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।’
আরটিভি/এসএপি-টি
খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার তারিখ চূড়ান্ত
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ও যাত্রার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাচ্ছেন তিনি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে রওনা হবেন বেগম খালেদা জিয়া । তার সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন ১৬ সদস্যের টিম।
জানা গেছে তার সফরসঙ্গী হবেন- বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।
আরটিভি/এমএ
সচিবালয়ে আগুন, ফেসবুকে যা লিখলেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ সকালে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
ইশরাক হোসেন লিখেছেন, জ্বলছে সচিবালয়। হাসিনা পরিবার ও তার দোসরদের দুর্নীতির নথিপত্র ধ্বংস করার জন্যে কি এই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড?
তিনি লিখেছেন, দৈনিক সমকাল থেকে পাওয়া খবরের অংশ দেখাচ্ছে, মেগা দুর্নীতির মন্ত্রণালয়ের অফিস পুড়ে গেছে। যতদিন যাবে সংকট আরও গভীর হবে। তাই আমরা নির্বাচনের কথা বার বার বলছি। রাজনৈতিক সরকার ছাড়া আওয়ামী ও বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব না।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির এই সদস্য লিখেছেন, নির্বাচন শব্দটি শুনলেই যারা মহাবিরক্ত হোন, দয়া করে বোঝেন। বিএনপি অভিজ্ঞতা থেকেই দেশ রক্ষার্থে পরামর্শ দিচ্ছে। অন্য কাউকে বিশ্বাস না করলেও তারেক রহমানের ওপর ভরসা করুন।
স্ট্যাটাসে দৈনিক সমকালের উদ্ধৃতি দিয়ে ইশরাক হোসেন আরও লিখেছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের অফিস রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে দেড় হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
ফরহাদ হোসেন নামে একজন লিখেছেন, নির্বাচিত একটি সরকারই পারে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। কারণ, দেশের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনৈতিক দলগুলোই পারবে এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে।
আহসান আহমেদ ফকির লিখেছেন, ১০০% পরিকল্পিত।
আবু তালহা লিখেছেন, আগুন লাগলো কিভাবে সেটা আমার প্রশ্ন।
মোহাম্মদ লাবু ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আগুন তো আর উড়ে এসে লাগেনি, এটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।
আরটিভি/আইএম
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
সচিবালয়ে লাগা আগুনে জরুরি নথি পুড়ে যাওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয় উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার শেখ হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই তা গায়েব করতে আগুন দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় তদন্তের দাবি জানাই।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের চেয়েও ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। সব জেনে শুনেই শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। গণমাধ্যম দিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।
গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মতো একের পর এক অপকর্ম যারা করেছেন, তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, হাসিনার মাধ্যমে উপনিবেশ কায়েমের চেষ্টা করেছে তারা। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তবে আমরা এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাব।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শুনছি একটা দল গঠনের চেষ্টা চলছে। কারা কোন রাজনৈতিক দল করবেন, এটা যদি গোয়েন্দারা ঠিক করে দেন, তাহলে হাসিনার সঙ্গে পার্থক্য কী থাকল। এসব কিন্তু দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন, এরশাদ ও হাসিনার মতো যদি একই সংস্কৃতি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে কী পরিবর্তন এলো।
আরটিভি/আইএম
সচিবালয়ে আগুন, যা বললেন মির্জা ফখরুল
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন এবং আগুনে একজনের মৃত্যু ও দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।
তিনি আরও বলেন, মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। তবে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিটের দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরটিভি/এআর/এস
নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ঢাকায় সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের সোহানুর জামান নয়নের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নিহত নয়নের শোকাহত পরিবারের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আটপনিয়া গ্রামের সন্তান নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পিতামাতার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির নেতারা।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলটি নিহত নয়নের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় নিহত নয়নের পিতা আখতারুজ্জামান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নামে। দায়িত্ব পালনে তেজগাঁও থেকে ছুটে গিয়েছিলেন স্পেশাল ইউনিটের সদস্য নয়নও। যুক্ত হয়েছিলেন আগুন নেভানোর কাজে। পানির পাইপ সংযোগ দিতে সচিবালয়ের রাস্তার উল্টো পাশে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
আরটিভি/এএএ