গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ গণতন্ত্র চর্চার পরিপন্থি: জিএম কাদের
সময় টিভির পাঁচ কর্মীকে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই চাকরিচ্যুতের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেছেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ গণতন্ত্র চর্চার পরিপন্থি।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান তিনি। এ সময় সব চাকরিচ্যুত সংবাদ কর্মীকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান সাবেক এই বিরোধীদলীয় নেতা।
দেশের সব গণমাধ্যমকর্মীর পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহবান জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অকারণে সাংবাদকর্মীদের চাকরিচ্যুত করা গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার উদাহরণ, যা জবাবদিহিতা মূলক সরকার ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র চর্চার পরিপন্থি। এমন অমানবিক সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না।
গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, যা বললেন জামায়াতের আমির
চট্রগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেরিফাইড আইডিতে পোস্ট করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে জামায়াতের আমির লিখেছেন, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ট্রাক চাপা! হত্যাচেষ্টা না নিরেট দুর্ঘটনা? তা অবশ্যই যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক।’
এর আগে, বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। এদিন দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ওই জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
আরটিভি/এসএপি
চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে হেফাজতের লংমার্চের ডাক
বাংলাদেশ নিয়ে চক্রান্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজাহার এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনার (সহকারী) অফিস অভিমুখে আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় লংমার্চ হবে। আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। পরে আমাদের প্রতিনিধিরা তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি দেবেন।
হারুন ইজাহার বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটি থেকে বিদায় করার পর এদেশের বেশিরভাগ হিন্দু সংগঠন ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অনেকেই হিন্দুদের মন্দির পাহারা থেকে শুরু করে সুরক্ষার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। অতি উদারতা দেখাতে পূজামণ্ডপেও গিয়েছিল অনেকে, যেটা আমরা সমর্থন করি না। এত উদারতা দেখানোর পরও তারা আমাদের ভাইকে জবাই করে হত্যা করল।
হিন্দু সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে হেফাজত নেতা বলেন, আপনাদের বিভিন্ন সংগঠনে যেসব সন্ত্রাসী ঘাপটি মেরে রয়েছে তাদেরকে আপনারাই চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে।
আমাদের মূল লড়াই বাংলাদেশের হিন্দুদের সঙ্গে নয় জানিয়ে হারুন ইজহার বলেন, আমাদের লড়াই দিল্লির সঙ্গে। দিল্লি বাংলাদেশে কুকুর লেলিয়ে দিয়েছে। কুকুরের সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া নেই।
তিনি আরও বলেন, হিন্দুস্তান আমাদের দেশে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে চাপিয়ে দিয়েছে। হিন্দুস্তান ষড়যন্ত্র অব্যহত রাখলে আমরাও হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক আগ্রাসন অব্যহত রাখব।
আরটিভি/আরএ/এআর
ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ, বিএনপির যেসব নেতা থাকবেন
জাতীয় ঐক্য গঠনে ছাত্রনেতাদের পর এবার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সব ঠিক থাকলে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির পাঁচ নেতা অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপের আহ্বান করেছেন। তার ডাকে বুধবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংলাপ যাবেন বিএনপির পাঁচজন নেতা।
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে থাকবেন ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এর আগে, আজ সন্ধ্যায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরাও সরকারের অংশ। দেশের মানুষ তোমাদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিজয় অর্জন করেছো, আরেক বিজয় আসবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছো। দেশ বদলে ফেলেছো। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে।
আরটিভি/আইএম
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা, ফিরে গেলেন অলি
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে অংশ নিতে গিয়েও আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে থেকে ফেরত যান অলি আহমদ। এদিন বিকেল সোয়া চারটার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়।
এলডিপির একজন নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্যারের (অলি আহমদ) সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা তাকে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে যেতে বলেছিলেন। সে মোতাবেক তিনি সেখানে পৌঁছান। কিন্তু প্রবেশপথে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে তার নাম সেখানে নেই। পরে তিনি ফেরত গেছেন।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপি, জামায়াতসহ গণসংহতি আন্দোলন, বাসদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএম, এবি পার্টি ও খেলাফত মসলিসের প্রতিনিধিরা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যান।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে ড. ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ বসেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। আগামীকাল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসবেন তিনি।
আরটিভি/একে
অলি আহমদ বৈঠকে অংশ নিতে না পারায় যা বললেন জামায়াত আমির
জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে গিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
এদিকে বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় অলি আহমদের নাম না থাকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির লিখেছেন, এলডিপি চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম গতকাল (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলসমূহের জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে সম্মানজনকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও আন্তরিক হবেন আমরা আশা করি।
সর্বদলীয় এই বৈঠকে অংশ নেয় বিএনপি ও জামায়াতসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই বৈঠক শেষ হয়। তবে বৈঠকে আওয়ামী বা সমমনা কোনো দলই আমন্ত্রণ পায়নি।
আরটিভি/একে-টি
স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুন দিলেন রিজভী
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুনে পুড়িয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশীয় পণ্য, কিনে হও ধন্য’ শিরোনামে একটি সভায় এমনটা করতে দেখা গেছে রিজভীকে। সঙ্গে ছিলেন তার নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও। এ সময় সবাইকে দেশীয় পণ্য কেনার পরামর্শ দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশ সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা একবেলা খেয়ে থাকব, তবুও মাথা নত করব না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যে শেখ হাসিনা গুম, খুন করেছে, ছাত্রদের রক্তে রাজপথ ভাসিয়েছে তাকে ভারত পছন্দ করে। কিন্তু বাংলাদেশকে পছন্দ করে না।
হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, স্বাধীনতা চায় এমন ভারতীয় অনেক জাতিকে দেশটির সরকার পদানত করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে সেটা করতে আসবেন না। ভারত যা বলবে তাই শুনবে, শেখ হাসিনার মতো এমন দুয়েকজন থাকতে পারে। কিন্তু কোটি কোটি বাঙালি এর বিপক্ষে।
আরটিভি/একে-টি
আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে: কর্নেল অলি
আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। কে সংগঠিত করছে, কে দায়িত্ব নিয়েছে, কোথায়, কখন এবং কোন বাসায় তিনি আছেন সে তথ্য আমার কাছে আছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারীরা বসে নেই। তাদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তর পুলিশ এবং প্রশাসনে বসে আছে। এখনো স্বৈরাচারের দোসরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্ব অবস্থানে রয়েছে। আমি ড. ইউনূসকে বলবো আর কালবিলম্ব না করে স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। তাদের বদলি কোনো সমাধান নয়। চাকরি থেকে বাদ দিতে হবে।
দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের দোসরদের কাছেও কোটি-কোটি টাকা আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন, তার পিয়নের কাছে ৪০০ কোটি টাকা রয়েছে।
এদিকে গতকাল জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একটি বৈঠক হয়। সেখানে অংশ না নিয়ে ফিরে যাওয়ার প্রসঙ্গে অলি বলেন, যে কারণেই হোক না কেনো আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। যার জন্য সরকারের একজন উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সুতরাং এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, অভিজ্ঞতার মূল্য দিতে হবে। লেখাপড়া, বই পড়ে আপনি গবেষণা করতে পারবেন। অভিজ্ঞ লোকদের বিভিন্ন জায়গায় বসাতে হবে। আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমি ছয়বার সংসদ সদস্য ও তিনবার সফল মন্ত্রী ছিলাম। সুতরাং রাষ্ট্রপরিচালনায় কে, কোথায় কীভাবে কাজ করছে, কে ভুল করছে, তা আমাদের পক্ষে নির্ণয় করা কঠিন কাজ নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা মিটিংয়ে থাকি বা না থাকি। বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার-ভারতকে এটা বুঝতে হবে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনও জীবিত আছি। বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।
অলির দাবি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনকাল ছাড়া বাকি সময়টুকু ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করছে বাকিরা। বর্তমানে কাউকে আমরা ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করতে দেব না। আমার ভারতের বিপক্ষে না, কোনো দেশের বিরুদ্ধে না, ইসলাম ধর্মের অনুসারী, যারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তবে বেশি গুতাগুতি করলে ভালো হবে না।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার নিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে না। এবার বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে যেভাবে দুর্গাপূজা হয়েছে, তা গত ৫০ বছরেও হয়নি। মুসলমানরা মন্দির পাহারা দিয়েছে, এটা বিরল ঘটনা। তাই ভারত সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশে তাদের নতুন করে কোনো দালাল সৃষ্টি না করে দেশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে তারা তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, আমরা আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করবো। যার যেখানে সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে, আমরা একে অপরকে সাহায্য করবে। তবে, ভারতের উচিত তাদের শত্রুতামূলক মনোভাব পরিহার করা।
আরটিভি/একে