চরমোনাই পিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের নোয়াখালী টাওয়ারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অফিসে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির।
ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দুই নেতার সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কোন বার্তা নিয়ে আসবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় গিয়ে মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন সেখানে।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন
নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ঢাকায় সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের সোহানুর জামান নয়নের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নিহত নয়নের শোকাহত পরিবারের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আটপনিয়া গ্রামের সন্তান নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পিতামাতার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির নেতারা।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলটি নিহত নয়নের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় নিহত নয়নের পিতা আখতারুজ্জামান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নামে। দায়িত্ব পালনে তেজগাঁও থেকে ছুটে গিয়েছিলেন স্পেশাল ইউনিটের সদস্য নয়নও। যুক্ত হয়েছিলেন আগুন নেভানোর কাজে। পানির পাইপ সংযোগ দিতে সচিবালয়ের রাস্তার উল্টো পাশে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
আরটিভি/এএএ
সংস্কারের নামে অনির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেওয়া যায় না: ফখরুল
সংস্কারের নামে দিনের পর দিন অনির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের পাশাপাশি সুশাসন ও জনদুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ না নিলে লক্ষ্য অর্জন হবে না। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকে আক্রমণ ও তীর্যকভাবে কথা বলেও কোনো সংকট সমাধান হবে না।
উপদেষ্টারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে মন্তব্য করছেন। এটা উচিত নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন না। তাদের সহযোগিতা করছেন না। মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলো কোনোভাবেই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়।
আল্লাহ চাইলে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় যাবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও ক্ষমতায় ছিলাম। ক্ষমতার জন্য আমরা কোনোদিন রাজনীতি করিনি।
জিয়াউর রহমানই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন উল্লেখ করে এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের বাকশাল থেকে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র।
আরটিভি/আইএম/এস
নারায়ে তাকবির ও জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে যা বললেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি এখানে এসে একটা স্লোগান শুনলাম, নারায়ে তাকবির। অনেকদিন পরে এই স্লোগান শুনলাম। নারায়ে তাকবির আর জিন্দাবাদ স্লোগান তো বাংলাদেশ থেকে উঠে গিয়েছিল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের দ্বাদশ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের আমলে আমি অন্তত ১২ বার গ্রেপ্তার হয়েছি। এখনও আমার নামে ১০৮টা মামলা আছে। এ রকম মামলা হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতসহ যত ইসলামিক দল আছে, সবার বিরুদ্ধে আছে। আওয়ামী লীগের বিদায়ে সেই আতঙ্কিত জীবনের অবসান ঘটেছে।
ভারতের উদ্দেশ্যে এ সময় তিনি বলেন, হাসিনার পতনে তোমাদের এত মাথাব্যথা কেন? একটার পর একটা গন্ডগোল করছো, অস্থিরতা সৃষ্টি করছো। পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে কিন্তু নিজের বাড়িও সেভ থাকে না। একটু বুঝে শুনে চলবে। দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে আমরা কখনও আপস করব না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ছাত্র আন্দোলন যখন অনেকটা থেমে গিয়েছিল তখন যাত্রাবাড়িতে মাদরাসা ছাত্রদের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এবং সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমেছিলেন। এখানে যারা আছেন কেউ হলফ করে বলতে পারবেন না গত ১৬-১৭ বছর তারা বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছেন।
আরটিভি/আইএম/এস
রিজভীর বক্তব্যে জামায়াতের কড়া প্রতিবাদ
‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’—বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন বক্তব্যে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দলটির সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বিবৃতিতে বলেন, রিজভীর বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং জামায়াতকে চরিত্রহীনভাবে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, রিজভীর এসব বক্তব্য মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জামায়াত কখনও ভারত সম্পর্কিত কোনো রাজনীতিতে অংশ নেয়নি এবং না কখনও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন- যেমন ‘৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক দলের আত্মসাৎ’, ‘রগ কাটা’, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’, এবং ‘৭১ এর বিরোধিতা’—এগুলো অতীতের রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ, যা বহু আগেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ধরনের কথাবার্তা আর কিছু নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনগণ এসব মিথ্যা অভিযোগ আর বিশ্বাস করে না।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রিজভী এসব কথা বলার মাধ্যমে জামায়াতকে অসম্মান করার চেষ্টা করছেন, অথচ জামায়াত কখনও ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ বা ‘মোনাফেকি’ করেনি। আমরা ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করি। জামায়াত মানুষের অধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীনভাবে লড়াই করছে। জামায়াতের রাজনীতি কখনও মোনাফেকি করে না, বরং একমাত্র সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, রিজভী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করেছেন, কিন্তু তাকে নিজেই নিজের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করা উচিত। জনগণ জানে, কোন দল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং তারা কীভাবে সেখানে সফর করেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াত ভারতের আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনীতি করে আসছে এবং এই অবস্থান গোটা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য। আর এ কারণেই সম্ভবত রিজভীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য এবং অপবাদ আরোপের রাজনীতি থেকে রিজভীকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
আরটিভি/আরএ
দখল নয়, ইসলামী ব্যাংক মায়ের কোলে ফিরে এসেছে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি, বরং এই ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৫ আগস্টের পর নতুন ডাকাতরা ব্যাংক দখল করতে চেয়েছিল, তবে তারা পালিয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি, বরং এই ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।
জামায়াত আমির বলেন, ক্ষমতায় গেলে কারও ওপর জোর করে পর্দা প্রথা চাপিয়ে দেবে না জামায়াতে ইসলামী। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে যেখানে নারীরা আপন ইচ্ছায় পর্দা করবে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে। সর্বক্ষেত্রে দেশাত্ববোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারী, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। কেউ কোনোভাবে অন্যায়ের শিকার হবে না।
জামায়াতের আমির বলেন, দেশকে আমরা সাজানো বাগান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবার ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে অর্থনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়া দেশকে আবার সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। কৃষকরা ফসল ফলাবে দেশকে সহযোগিতা করতে এবং দেশের মান উন্নত করতে। কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠান কেড়ে নেওয়া হবে না। কাউকে জুলুমের মাধ্যমে দমিয়ে রাখা হবে না। শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে সমান্তরাল সমৃদ্ধ করে জাতিকে সাজানো বাগানের মতো দেশ উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।
শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করে দেশে না রেখে সব কিছু পাচার করে দিয়েছে। খোকলা করে ফেলেছে দেশের অর্থনীতিকে। বিকিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব। অথচ চোরের মায়ের ডাঙর গলার মত করে তারা স্বাধীনতার ঠিকাদার সেজে চেতনার নামে জাতিকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে সব লুটে পুটে নিজেদেরকে পুষ্ট করেছে। কিন্তু তাদের চেতনাবাজি নতুন প্রজন্মের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের শুধু পতনই ঘটায়নি, দেশ থেকেই বিতাড়িত করেছে।
এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পাঁচ আগস্টের পর ইসলামী ব্যাংকগুলো একটি রাজনৈতিক দল দখল করে নিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, উপদেষ্টাদের প্রায় অনেকেই সবক দেন, দু-একটি দলও সবক দেয় যে, চাঁদাবাজ বিদায় হয়েছে, আর কোনো চাঁদাবাজ আমরা দেখতে চাই না। চাঁদাবাজ না আসুক, এসব কাদের উদ্দেশ্য করে বলছেন?
রিজভী বলেন, আমরা তো প্রথমেই দেখলাম ৫ আগস্টের পরদিনই ইসলামী ব্যাংক দখল করেছে, এটি কি জনগণ দেখেনি? এটা তো দেখেছে জনগণ। আজকে বড় বড় কথা বলেন। কলঙ্ক লেপন করার চেষ্টা করেন বিএনপির নামে। জেলায় জেলায় টার্মিনাল দখল, সিএনজি স্ট্যান্ড দখল, টেন্ডার ভাগাভাগির মধ্যে কি আপনাদের লোকরা জড়িত নয়?
জামায়াতের নাম না নিয়ে রিজভী আরও বলেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ৭১ এর অর্জন কী? আপনারা ৭১ এর বিরোধিতা করেছেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন, এই গৌরব বিএনপির। ৭১, ৯০ এর গৌরব বিএনপির।
আরটিভি/একে
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও যত মামলা রয়েছে, জানালেন কায়সার কামাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও ১৮ থেকে ১৯ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে, এদিন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে কায়সার কামাল বলেন, এ আদেশের ফলে তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে এই চারটি মামলা আর চলবে না।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেন ও শেখ হাসিনা সরকার যেসব মামলা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করেছে সবগুলো ছিল মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আদালত চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে দেখেছেন এই মামলাগুলোর আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে এই চারটি মামলা করেন।
আরটিভি/আরএ
লন্ডন থেকে ফিরে তারেক রহমানকে নিয়ে যে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন
প্রায় দুই সপ্তাহ লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। দেশের মাটিতে পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি; দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খবরও।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, এখনও পর্যন্ত তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি। সেজন্য অল্প কিছু সময় লাগবে। তবে, তিনি অবশ্যই আসবেন।
তারেক রহমানের সঙ্গে কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ বিষয়ে আপনারা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন। তবে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঐক্যের কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তার বাস্তবায়নে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। ভাসা ভাসা সময় না, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সঠিক রোডম্যাপ দিতে হবে। নতুন রাজনৈতিক শক্তির উদয় হলে আমরা স্বাগত জানাবো। তবে, সেটা কিংসপার্টির মতো যেন না হয়।
এরপর সংবিধান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান কখনো কবর দেয়া যায় না। পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন হতে পারে।
আরটিভি/এসএইচএম