যে ট্রাইব্যুনালে বিচার করে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, সেই ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা জেলার ফুলতলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় বেজেরডাঙ্গা আকিজ মাহফিল মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, যে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা, সাজানো, পাতানো মামলায় নিজামী, মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, সেই ট্রাইব্যুনালেই মানবতাবিরোধীদের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার বিচার হবে। তবে, শেখ হাসিনার আমলের ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলায় কথিত বিচার হলেও এখন সঠিক বিচার হলেই শেখ হাসিনা শাস্তি পাবেন।
তিনি বলেন, ৫ আগষ্টের পর অনেক আসামি মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বিনা অপরাধে এখনও কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এ জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ৫৩ বছরে দেশের মানুষ অনেক সরকারের শাসন দেখেছে। এখন দেখতে বাকি জামায়াতের শাসন।
ওই অবস্থান কর্মসূচিতে দেশবাসীকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই, জুলুমের বিরুদ্ধে।
নতুন বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জামায়াত সহযোগিতা করতে চায় উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, অনেকে আছে এখনই নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়। কিন্তু আমরা বলেছি, যেসব জায়গায় বিগত ১৫ বছরের জঞ্জাল রয়েছে সেগুলো আগে পরিষ্কার করে, সংস্কার করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। দেশবাসী আর ২০১৪, ২০১৮ আর ২০২৪ এর মতো কোন নির্বাচন দেখতে চায়না। বিগত তিনটি নির্বাচনে আ’লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশলীগ মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। আর কোনদিন তেমন নির্বাচন এদেশের মানুষ দেখতে চায়না। দেশবাসী চায় একটি পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
ফুলতলা ইউনিয়ন আমির মাস্টার মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামীর এ কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলার সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, ফুলতলা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলিম মোল্যা, নায়েবে আমীর মাওলানা শেখ ওবায়দুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল হাসান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি আলী আকবর মোড়ল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, জামায়াত নেতা আশরাফুল আলম, ছাত্র শিবির নেতা মোহাম্মদ হোসাইন, যুব বিভাগের সভাপতি মেহেদী হাসান জুলহাস মোল্লা, ছাত্রশিবির নেতা মোঃ আব্দুর রহিম খান, মো. ইরান মোল্লা, ড. আজিজুল হক, শেখ মো. আলাউদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আহমেদ, শ্রমিক নেতা এমরান হুসাইন, এস এম নূরুল ইসলাম বাবুল গাজী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
আরটিভি/এসএইচএম