বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, তানিফা আহমেদ ছিলেন জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক ও বীর সেনানী। তার এ বীরত্বগাথা দেশ ও জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। তার ঐতিহাসিক অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে তানিফার বাসায় পরিবারের খোঁজ নিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, মৃত্যু যেভাবেই হোক তা আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই হয়ে থাকে। আর দুর্ঘটনাতে কারও কোনো হাত নেই। তানিফা আহমেদ ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ ও গর্বিত সন্তানদের মধ্যে একজন। তার দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফরে দেশ ও জাতির যে অনন্য সাধারণ অবদান রেখেছেন তা আমরা কখনোই বিস্মৃত হবো না। তাই শোক কাতর না হয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা কর্নেল (অব) আব্দুল বাতেন, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমীর আশরাফুল আলমসহ অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিরপুর মডেল থানার সহ-মুখপাত্র তানিফা আহমেদ তার মামা শামীমসহ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহত পরিবারের পাশে থাকতে সম্ভাব্য সবকিছু করার আশ্বাস দিয়ে তানিফাসহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন উপস্থিত জামায়াত নেতারা।
মহানগরী আমীর নিহতদের স্বজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করেন।
আরটিভি/এএইচ/এস