ঢাকামঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান সারজিস আলম

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ , ০৪:২৪ এএম


loading/img
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে টানা বিক্ষোভ কর্মসূচির পালনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৯ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সারজিস আলম এ দাবি জানান। 

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কিছু ‘উপকারিতা’ বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না। 

বিজ্ঞাপন

সারজিস আলম লিখেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সব স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের (বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন) মতো যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। তা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে। 

আগে স্থানীয় নির্বাচনের তিনটি উপকারিতা তুলে ধরে সারজিস আলম লিখেছেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে। 

দ্বিতীয়ত, জাতীয় নির্বাচনের আগে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের ‘লিটমাস টেস্ট’ হতে পারে। যেমন নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, সেই ‘লিটমাস টেস্ট’ হতে পারে। অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয়, তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় উপকারিতা হিসেবে সারজিস বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন (বাছাই) প্রক্রিয়ায় নমিনেশন (মনোনয়ন) দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ‘মাই ম্যানকে’ (নিজস্ব লোক) বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে ‘মাই ম্যান’ নয়, বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।

বিজ্ঞাপন

সারজিস আলম আরও লিখেছেন, বিএনপি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে, সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশা করি, এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না। 

পোস্টের শেষে ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য’ দিয়ে এনসিপি নেতা  সারজিস আলম লেখেন, আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না। 

আরটিভি/কেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |