প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব হলেন গাজী হাফিজুর রহমান লিকু
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে এই দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় পদটি শূন্য হয়।
গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভিপি ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ পদে আছেন কাজী নিশাত রসুল।
মন্তব্য করুন
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী আর নেই
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হলে সকালে মতিয়া চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হয়। এরপরই আমরা ইসিজি করে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করি। শেষ পর্যন্ত আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সফল হতে পারিনি। দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মতিয়া চৌধুরীরর পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝে তাকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
১৯৪২ সালের ৩০ জুন মতিয়া চৌধুরী পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তিনি শেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১-এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পর পুনরায় তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
এ বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
আরটিভি/টিআই
জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার: জি এম কাদের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সর্বাত্মক সমর্থন ও সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার পরও জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, এখন নির্বিচারে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছে, সেই আন্দোলনের হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি নেতা-আসামি করা হচ্ছে। এই অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। আমরা রাজপথে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করবো।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে এর প্রতিবাদ করা হবে।
জি এম কাদের বলেন, গত ১ জুলাই ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করলে আমি ৩ জুলাই সংসদে তখনকার প্রধানমন্ত্রীর সামনে ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বক্তৃতা করেছি। বক্তৃতায় আমি বলেছি, ছাত্রদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থী। বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। ৬ জুলাই গাজীপুরে জাতীয় পার্টির কাউন্সিলে বক্তৃতায় আমি বলেছি, চাকরিতে কোটা পদ্ধতি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। তখন আমি বলেছিলাম, চাকরিতে কোটা পদ্ধতি হচ্ছে বৈষম্য।’
জুলাইয়ে আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করা হলে মুক্তির দাবি তোলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনে যখন গুলি চালানো হলো, আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছি আমরা।
আরটিভি/এআর/এসএ
জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের গৃহবন্দি করে রাখবে না: শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে মা-বোনরা তাদের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সম্মানের সঙ্গে ইসলামের বিধান অনুযায়ী সমাজ উন্নয়নের অবদান রাখবেন। তাদের কাউকেই আমরা গৃহবন্দি করে রাখবো না।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জামায়াতের আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা একদিন গর্ব করে বলতেন এই দেশ আমার বাপ-দাদার, এদেশ ছেড়ে আমরা কোথাও পালাবো না। তারা কি জাতির সঙ্গে দেওয়া কথা রক্ষা করেছেন? তাদের কর্মীদের সঙ্গে দেওয়া কথা রক্ষা করেছেন? তারা কারও সঙ্গে দেওয়া কথা রক্ষা করতে পারেননি। কারণ, তারা আল্লাহকে ভয় করতেন না। এইসব অপকর্মের ভয়ে এই দেশে দাঁড়িয়ে স্থির থাকার দুঃসাহস তাদের হয় নাই। আমরা তাদের বিচার চাই। এদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। যে যেখানেই থাকুক তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামীতে দেশকে খেদমত করার সুযোগ পেলে একটা যুবকের হাতকেও বেকার থাকতে দেবো না। তাদের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করবো। হাতে কাজ তুলে দেবো। তারা হবেন দেশ উন্নয়নের এক একজন নায়ক।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা জনগণকে স্বস্তি দিন, প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিন। জনগণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সাধন করুন। জনগণের হাত আপনাদের সহযোগিতা করবে। আপনারা ভুল করলে আমরা শুধরে দেবো।
কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম মো. আবু বকর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।
কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হুসাইন ও মাওলানা আজিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. হারুন উর রশিদ, ড.মাওলানা মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই, আব্দুল আলীম, মাওলানা আবু তালিব, ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মতিউর রহমান, মো. বাবুল হোসেন, মাওলানা ওলিয়ার রহমান, মো. আজিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ, শহীদ ইবনুল পারভেজের পিতা মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরি সভাপতি এইচএম আবু মুসা, ছাত্রশিবিরের ঝিনাইদহ শহর সভাপতি মেহেদী হাসান রাজু, জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন শুরুর আগেই দুপুর ১২টার পর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাজার হাজার নেতাকর্মীতে পূর্ণ হয়ে ওঠে কলেজ মাঠ।
আরটিভি/এমএ
রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিএনপি চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হবে। তাই এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিএনপি চায় না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করবে। যা দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত করবে। সুতরাং ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘যারা (এই দাবিতে) বিক্ষোভ করছেন তাদের আমরা বারবার বলছি, তারা যেন বঙ্গভবনের আশপাশ থেকে সরে যান। মঙ্গলবার থেকে বঙ্গভবনের আশপাশের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও ছিলেন। এ প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা এই আল্টিমেটাম দিচ্ছেন, তাদেরকে এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন।’
পদত্যাগের এই দাবিকে সরকার কীভাবে দেখছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেক ধরনের দাবি অনেক জায়গায় তৈরি হয়। সবগুলো তো আমরা এড্রেস করি না।’
আরটিভি/এফএ/এআর
বিদেশি নাগরিক হয়ে রাষ্ট্রপতি হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ: রিপন
বার্বাডোজের নাগরিক হয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইতালির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আমিনুর রহমান সালামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতার বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, মো. সাহাবুদ্দিন বার্বাডোজের নাগরিক। অন্য দেশের নাগরিক হয়ে তিনি কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন? এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ করা উচিত। তার এ পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ঢাকতেই তাকে সে সময় ওখানে বসানো হয়েছিল। পরে তাকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়। এরপর সাহাবুদ্দিনকে যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়, তখন সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে রিপন বলেন, তিনি তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। তাই উনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ওনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাকে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এখন আড়াই মাস পর এসে সাহাবুদ্দিন বললেন ওনি পদত্যাগপত্র পাননি। এর মধ্যে নিশ্চই কোনো উদ্দেশ্য আছে।
আরটিভি/আরএ/এসএ
দিল্লিতে কোথায় আছেন শেখ হাসিনা, জানাল ভারতীয় গণমাধ্যম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তাকে এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময় গুঞ্জন ওঠে তিনি ভারত ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। তবে শেখ হাসিনা যে ভারতেই আছেন সেটি নিশ্চিত করলেও তার অবস্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি মোদি সরকার। অবশেষে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই মাস ধরে নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সেইফ হাউসে বসবাস করছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকাটিতে ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির মতো একটিতে শেখ হাসিনাকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রোটোকলসহ মাঝে মাঝে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
পলাতক হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার রক্ষার স্বার্থে দ্য প্রিন্ট বাড়িটির প্রকৃত ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি।
এদিকে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে হাজিরের নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট একটি বিমানে করে ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ। বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পরপরই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও দেশটির উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর দুদিন পর তাকে হিন্দন বিমান ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আরটিভি/আরএ/এসএ
ছাত্রদের ওপর হামলায় চুন্নুসহ ৮২ জনকে আসামি করে মামলা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সহিংসতা, মদদ, অর্থায়ন ও নির্দেশের অভিযোগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ৮২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে করিমগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন উপজেলার কাদিরজঙ্গ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর কাইয়ুম। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট করিমগঞ্জ বাজারের মোরগমহালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সাবেক এমপি মুজিবুল হক চুন্নু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন, নির্দেশে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতায় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, শটগান, বন্দুক, ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মামলা চালান। আন্দোলনকারীদের মোটরসাইকেলগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে চার লাখ টাকা। এ হামলায় অনেকেই গুরুতর আহত হন। পরে আসামিরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহব উদ্দিন। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরটিভি/এমএ/এসএ