যত বাধাই আসুক আমরা গণশুনানি করবোই। হল বন্ধ করুক, প্রয়োজনে ঘরে-বাইরে, রাস্তায় আল্লাহর আকাশের নিচে যেখানেই জায়গা পাব সেখানেই গণশুনানির আয়োজন করবো। বললেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রব।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অনিয়মের চিত্র’ তুলে ধরতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য গণশুনানির জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে কোনো হল বুকিং দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আ স ম আবদুর রব বলেন, অনেককে আমরা হল বুকিংয়ের জন্য টাকা দিতে চেয়েছি। কিন্তু তারা পুলিশের পারমিশন (অনুমতি) ছাড়া টাকা নিতে চাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যে অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে তা নিয়ে আমরা গণশুনানি করব। তবে আমাদের কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। শুনানি করার জন্য আমরা কোনো হল পাচ্ছি না। সরকার ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে সব হল বুকিং দিয়ে রেখেছে। হল মালিকরা আমাদের পুলিশের পারমিশন নিয়ে হল বুকিং দিতে বলছেন। পুলিশের পারমিশন ছাড়া কেউ হল বুকিংয়ের টাকা নিতে চাচ্ছেন না।
রব আরও বলেন, গণশুনানিতে ভোটের দিন আহত-নিহতদের পরিবারসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের প্রার্থী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে তাদের চিঠি দিয়ে ও টেলিফোনে জানানো হয়েছে। ভোট নিয়ে সরকার যে নখরামি করেছে গণশুনানিতে তার জবাব দেব।
নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ এনে রব আরও বলেন, ব্যালট নেয়ার সময় অধিকাংশ লোক টিপসই দিয়ে ব্যালট নিয়ে ভোট দিয়েছেন। এর মানে কী? বাংলাদেশের কেউ কি স্বাক্ষর করতে পারেন না? এসব ঘটনার প্রমাণসহ আমরা তুলে ধরব দেশবাসী ও বিদেশিদের কাছে। থাকবে ভোটের আগের রাতে ভোট শুরুর তথ্যও।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসদের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীসহ জোটের স্টিয়ারিং কমিটি এবং ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগর সমন্বয় কমিটির কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
এসজে