২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাংলাদেশিদের হজ পালনের সুযোগ দিতে পারে সৌদি সরকার। এ লক্ষ্যে আগাম সৌদি আরব সফর করে জেদ্দা, মক্কা ও মদিনায় বাংলাদেশের তিনটি হজ মিশন পরিদর্শন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব ইলেকট্রনিক মিডিয়া সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল এর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে হজ মিশনে আইটি সেক্টরে কর্মী প্রয়োজন। তাই, দেশ থেকে আইটি সেক্টরে কাজ জানাদের সৌদি আরবের হজ মিশনে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি হাজিদের জন্য মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। সেখানে অনেক ওষুধের মেয়াদ নেই। হজের আগে নতুন ওষুধসহ মেডিকেল সরঞ্জাম পাঠাতে হবে। হাজিদের সেবা দেয়ার জন্য দক্ষ ডাক্তার-নার্স-স্বেচ্ছাসেবকসহ বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী প্রয়োজন হবে।
এদিকে, করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ সালে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হাজিদের অংশগ্রহণে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বহির্বিশ্ব থেকে কোন হজযাত্রী সৌদি আরবে ঢোকার সুযোগ পাননি।
অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার জন্য ৬১ হাজার ১৪২ জন নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সাত হাজার ৭১৯ জন নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেন। এখনও ৫৩ হাজার ৪২৩ জন হজ পালনের জন্য নিবন্ধিত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে থাকলে ২০২২ সালের হজযাত্রার আগে তা নবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হজের খরচ কমার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ আগে একটি রুমে ৫ থেকে ৬ জন থাকতে পারতেন। এখন সেই রুমে ৩ জনের বেশি থাকার অনুমতি নেই। তারপরে হাজিদের সেবা দেওয়ার জন্য যতটুকু সাধ্য তারা চেষ্টা করে যাবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব, হজ কাউন্সিলর, হজ কনসাল রিপোর্ট এসোসিয়েশন অব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
পি