মালয়েশিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সোমবার ( ৭ এপ্রিল) ভোরে তানজুং মালিম থেকে লেম্বা বেরিংগিনগামী কেএম৪০৩ দক্ষিণমুখী এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ এক্সপ্রেসওয়েতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় একজন বাংলাদেশি নিহত এবং চারজন স্থানীয় আহত হয়েছেন।
সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক (অপারেশনস) আহমেদ মুখলিস মোখতার দুপুরে জরুরি কল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে, যেখানে একটি ট্রেলার ট্রাক, একটি তিন টনের লরি এবং একটি টয়োটা গাড়ি সংঘর্ হয়।
‘এই ঘটনার ফলে ৩০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়, যিনি তিন টনের লরিটির সহকারী চালক ছিলেন। ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়,’ তিনি এক বিবৃতিতে বলেন।
১৮ থেকে ৫২ বছর বয়সী আরও চারজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহতদের সকলকে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সুঙ্গাই বুলোহ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, আহমেদ মুখলিস জানিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে দুর্ঘটনার কারণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি এবং তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে।
এদিকে, হুলু সেলাঙ্গরের ডেপুটি পুলিশ প্রধান ডিএসপি মোহাম্মদ আসরি মোহাম্মদ ইউনুস নিশ্চিত করেছেন যে, নিহত বাংলাদেশি মিতসুবিশি ফুসো লরি চালাচ্ছিলেন, স্লিম রিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩:১০ মিনিটে মারা গেছেন।
‘প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে, টয়োটা রাশের সাথে ভুট্টা বোঝাই মিতসুবিশি ফুসো লরির সংঘর্ষের ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত লেনে চলে যায়, যেখানে এটি একটি স্ক্যানিয়া লরির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়’, তিনি এক বিবৃতিতে বলেন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার ফলে মিতসুবিশি ফুসো লরির সহকারী চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
টয়োটা রাশের ১৮ বছর বয়সী চালককেও চিকিৎসার জন্য স্লিম রিভার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, অন্যদিকে টয়োটা রাশের ৫২ বছর বয়সী যাত্রী এবং স্ক্যানিয়া লরির ২৬ বছর বয়সী চালক, আহত আরও দুইজন সামান্য আহত হয়েছেন।
মোহাম্মদ আসরি বলেন, ১৯৮৭ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৪১(১) ধারার অধীনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনা সম্পর্কে তথ্য থাকলে তদন্তে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরটিভি, ডিসিএনই
