সেহরি খাওয়া সুন্নত। নবিজি (সা.) নিজে সেহরি খেতেন ও তার সাহাবিদেরও খেতে উৎসাহ দিতেন। তবে রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা সেহরি খাও। কেননা, সেহরিতে বরকত রয়েছে। (সহিহ মুসলিম)
ইরবাজ ইবনে সারিয়াহ (রা.) বলেন, রমজানে একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে সেহরি খেতে ডাকলেন; বললেন, বরকতময় খাবার খেতে আসো। (মুসনাদে আহমদ)
সেহরি খাওয়ার উপকারিতা
সেহরি খেলে নবিজির (সা.) সুন্নত পালন করা হয়। কেননা নবিজি নিজে সেহরি খেতেন এবং সাহাবিদেরও খাওয়ার জন্য বলেছেন।
সেহরির খাবারে বরকত দান করেন আল্লাহ তাআলা। এ ছাড়া ফেরেশতাদেরও দোয়া পাওয়া যায়।
সেহরির জন্য উঠলে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের সুযোগ পাওয়া যায়। বছরের অন্যান্য সময় যারা তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারেন না, তারাও রোজা উপলক্ষে তাহাজ্জুদ আদায়ের সুযোগ পান।
সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠলে সুবহে সাদিকের আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রোজার নিয়ত করার সুযোগ পাওয়া যায়। রোজার জন্য নিয়ত করা কখনও জরুরি কখনও উত্তম।
হাফসা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুবহে সাদিকের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না। (সুনানে আবু দাউদ: ১/৩৩৩)
নবিজি (সা.) বলেছেন, সেহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করবে না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি করবে। যারা সেহরি খায় আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারাও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (মুসনাদে আহমদ)
আরটিভি/এফএ