‘সদকাতুল ফিতর’ আরবি শব্দ। সদকা শব্দের অর্থ দান করা। আর ফিতর শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো উন্মুক্তকরণ বা রোজা ভঙ্গকরণ। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই আদায় করা সদকাকেই সদকাতুল ফিতর বলা হয়। মূলত রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি। এ ছাড়াও ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করা হয়েছে।
সদকায়ে ফিতর যাদের ওপর ওয়াজিব
ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তার ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নিজের পক্ষ থেকে ও নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।
সদকাতুল ফিতর আদায়ের সঠিক সময়
ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা সর্বোত্তম। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ১৫০৯)
সাহাবারাও ঈদের আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করেছেন এমন দৃষ্টান্তও পাওয়া যায়। নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ইদের এক দুদিন আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করে দিতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬০৬)
আরটিভি/এফএ